সরকার কথিত নির্বাচনের নামে প্রহসন করে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রীতিমত রঙ্গশালায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ সকালে রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসাবে তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচন প্রতিহত করতে জনগণকে ভোটদানে বিরত থাকার আহবান, ঘোষিত তফসিল বাতিল ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত কাজীপাড়া স্টেশন, বাজার ও রোকেয়া স্মরণীতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এস এ টুটুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক ইবনে তালেব, আব্দুল আউয়াল আজম ও আব্দুল মতিন খান প্রমূখ।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারি, অবৈধ ও জুলুমবাজ সরকার নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই পরিকল্পিতভাবেই দেশকে গভীর সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তারা দেশকে অঘোষিতভাবে একদলীয় বাকশালী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্যই তারা দেশে নির্বাচনের নামে ইতিহাসের নির্মম ও নিকৃষ্ট তামাশার আয়োজন করেছে। আর সে কাজে সহযোগির ভূমিকা পালন করছে কথিত নির্বাচন কমিশনের নামের ‘ইন্তিকাল কমিশন’। তাই সরকার ও ইন্তিকাল কমিশনের যুগপৎ ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ৭ জানুয়ারির সাজানো ও পাতানো নির্বাচনকে ‘না’ এবং সম্মিলিতভাবে ভোট বর্জন করতে হবে। তিনি নির্বাচন প্রত্যাখানকে গণআন্দোলনে রূপ দিতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এক প্লাটফরমে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় আমাদের জাতিস্বত্ত¡ায় হুমকীর মুখোমুখি পড়বে।
তিনি বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্যই রাষ্ট্রীয় সংবিধান ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার। তারা ২০১৪ সালে একদলীয় ও তামাশার নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। ২০১৮ নৈশভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশকে লুটপাট, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে। তারা একইভাবে একতরফা ছলচাতুরী ও প্রতারণার নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্¦প্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে-ইনশাআল্লাহ। তিনি সরকারকে নির্বাচনের নামে আত্মপ্রবঞ্চনা বন্ধ করে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় তাদের জন্য ইতিহাসের করুন পরিণতি অপেক্ষা করছে।
আব্দুল্লাহপুর বেড়ীবাঁধ সড়কে গণসংযোগ
একদলীয় প্রহসনে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচি উপলক্ষে আজ ০৩ জানুয়ারী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর উত্তরা পূর্ব অঞ্চলের উদ্যোগে থেকে উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বেড়ীবাঁধ সড়কে লিফলেট বিলি করা হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তরখান থানা আমীর আব্দুল্লাহ সাদিক, জামায়াত নেতা আবু সামি, শমসের আলি, আব্দুল হাকিম, যুব নেতা মারুফ হোসাইনসহ থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ফার্মগেটে লিফলেট বিতরণ
শের-ই-বাংলা নগর দক্ষিণ থানার উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে ফার্মগেটে শের-ই-বাংলা নগর থানার উদ্যোগে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। থানা সেক্রেটারি এ এস মন্ডলের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা তাজ উদ্দিন, আনোয়ার উল্লাহ, জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্র নেতা ইসমাঈল চৌধুরী ও ইজাজ আহমেদ প্রমূখ।
মোহাম্মদপুর বাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও ভোট প্রদানে বিরত থাকার আহবান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোহাম্মদপুর পূর্ব থানা। থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, আল আমিন ও ওমর ফারুক প্রমূখ
বসিলায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানার উদ্যোগে জামায়াত নেতা শাহাবুদ্দীন মিজানের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন নিজাম উদ্দিন, মাসুদ খান, জয়নাল মোল্লা প্রমূখ।