দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব ও রাসুল (সা.) এর অনূসৃত আদর্শকে যথাযথভাবে অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহনগরী উত্তরের তেজগাঁও থানা উত্তর আয়োজিত এক সিরাত আলোচনা সভা ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর হাফেজ আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও হাতিরঝিল অঞ্চল পরিচালক হেমায়েত হোসেন এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এবং প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। আরো উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি নাসিবুল হক, থানা কর্মপরিষদ সদস্য এনামুল হক ও সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, রাসূল (সা.) বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরিত হয়েছিলেন। পবিত্র কালামে হাকীমের সূরা আল আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতরূপে প্রেরণ করেছি।’ মূলত, আল্লাহ তায়ালার নির্দেশিত পথ ও রাসূল (সা.) অনুসৃদ আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণেই সমাজ-রাষ্ট্রে অশান্তি ও অবক্ষয়ের জয়জয়কার চলছে। তিনি বিশ্বনবী (সা.) এর আদর্শ অনুসরণে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন ভূমিকা রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, গোটা বিশে^ই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উৎকর্ষতা এসেছে। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় যে, মানুষের বহিরাভরণ জৌলুসপূর্ণ ও দৃষ্টিনন্দন হলেও বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তির প্রত্যাশা বরাবরই অধরায় থেকে গেছে। মূলত, ইসলামী আদর্শের বিচ্যুতিই এই অশান্তির ও অবক্ষয়ের মূল কারণ। রাসূল (সা.) ও খোলাফায়ে রাশেদা অহীর বিধান অনুসরণের মাধ্যমে প্রায় অর্ধেক পৃথিবীতে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মুসলিম শাসকদের মধ্যে যারা আল্লাহর নির্দেশিত পথ ও রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণে শাসনকার্য পরিচালনার চেষ্টা করেছিলেন তারাও সমাজ, রাষ্ট্র ও বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তি, প্রগতি, উন্নয়ন, অগ্রগতি সর্বোপরি ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় সফল ও সার্থক হয়েছিলেন। তাই বর্তমান অশান্ত পৃর্থিবীতে স্থায়ি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে অহীর বিধান অনুসরণের কোন বিকল্প নেই। তিনি ওহীভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, সরকার অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা চরিতার্থ করার জন্যই সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে দলীয় কার্যলয়ে পরিণত করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ অপরাপর কমিশনাররা সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছেন। তারা কথিত নির্বাচনের নামে জনগণের সাথে তামাশা ও পরিহাসের মাধ্যমে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগকে নতুন করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের সে ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়ন হতে দেবে না বরং যেকোন মূল্যে সরকার ও আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনের যুগপৎ ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেবে। তিনি সাজানো ও পাতানো নির্বাচন প্রতিহত করতে সকলকে ভোটদানে বিরত থাকার আহবান জানান। অন্যথায় ফ্যাসীবাদীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
তেজগাঁও থানা দক্ষিণে শীতবস্ত্র বিতরণ
তেজগাঁও থানা দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদির সভাপতিত্বে ও থানা কর্মপরিষদ সদস্য ফরিদ আহমেদ রুবেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এবং প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক কলিম উল্লাহ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মিয়া মুহাম্মদ তৌফিক, আলী আকবর ও ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
কাফরুল পশ্চিম থানার শীতবস্ত্র বিতরণ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের কাফরুল পশ্চিম থানার উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারী ডাক্তার ফখরুদ্দীন মানিক। থানা আমীর আব্দুল মতিন খানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারী আতিক হাসানের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ্ব টিপু সুলতান, নেসার উদ্দিন, ওয়ার্ড সভাপতি সাজ্জাদ হোসাইন, জামায়াত নেতা মোস্তফা আনওয়ার হামিদ ও মিজানুর রাহমান প্রমূখ।