বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা বলেছেন, গত কয়েক দিনে সারাদেশের মত ঢাকা নগরীতেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে নি¤œবিত্তের মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। তাই আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে শীতার্ত মানুষের দূর্দশা লাঘবে এগিয়ে এসেছি। তিনি নগরীর শীতার্ত মানুষের কল্যাণে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সমাজের বিত্তবান মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি আজ বুধবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর থানা পশ্চিম আয়োজিত অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর ডা. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান। উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির মাহাদী হাসান, সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য রুহুল আমিন ও ওয়ার্ড সভাপতি শাহাবুদ্দিন মিজান সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, দেশে সাংবিধানিক শাসন নেই। সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল হিসাবে জনগণের হারানো অধিকার ফিরে দেওয়ার জন্য নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী সবসময় সামর্থের আলোকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় কাজ করে। গণমানুষের জন্য জামায়াতে ইসলামীর এই কল্যাণকামীতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, সরকার দেশ ও জাতিস্বত্তাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন নাগরিকের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার হলেও সরকার জনগণকে সে অধিকার পালনের সুযোগ দিচ্ছে না বরং জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ সহ দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে সারাদেশেই এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তাই জনগণের প্রকৃত মুক্তির জন্য আরেকটি এক্যবদ্ধ সংগ্রাম অনিবার্য হয়ে উঠেছে। তিনি অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষে চলমান আন্দোলন আরো জোরদার করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।