অবৈধ ও খুনী সরকারের পতন, জনগণের ভোট, ভাত, মানবাধিকার এবং আইন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠায় নারী-পুরুষ, দলমত নির্বিশেষে সকলকে প্রয়োজনে রাজপথে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত নিন্ম আদালতে প্রহসনের বিচার, ফরমায়েসী রায় এবং গুম ও গুপ্ত হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি রামপুরা বাজার থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফজুর রহমান ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দীন, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ও মু. আতাউর রহমান সরকার, ছাত্রনেতা সালাহ উদ্দীন ও আব্দুর রহীম প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, চলমান আন্দোলন রাজপথে রাজনৈতিক, নৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে অবৈধ, খুনী ও নৈশ্যভোটের হাসিনা সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে প্রহসনের বিচার এবং ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে বিরোধী আন্দোলন দমন করতে চায়। কিন্তু জনগণ এসব রায় মানে না। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সাংশনের কারণে হত্যার লাইসেন্স আর পাচ্ছে না। ফলে তারা জনগণে যৌক্তিক আন্দোলন দমন ও বিভ্রান্ত করার জন্য গুম, খুন, গুপ্তহত্যা সহ আদালতের অপব্যবহার শুরু করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনে রাখা উচিত জনতার এই উত্তাল তরঙ্গ ও দুর্বার আন্দোলন পুলিশ দিয়ে বন্ধ করা যাবে না। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যারা জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছেন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আদালতে তাদের বিচার করা হবে। যারা জনগণকে সহযোগিতা করবেন তাদের যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা হবে।
তিনি বলেন, এই ইন্তিকাল কমিশনের অধীনে জনগণ কোন নির্বাচন মেনে নেবে না। এই কমিশন মৃত লাশ। তাই এই দলদাস কমিশন বাতিল কনে নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচন দিতে হবে দলনিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার সরকারের অধীনে। অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পওয়ার, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও ঢাকা মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দিতে হবে। তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, শেখ হাসিনার আবারো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন জনগণ বাস্তবায়ন হতে দেবে না। জনতার তোপের মুখে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। তিনি সরকারকে হঠকারিতা পরিহার করে অবৈধ তফসিল বাতিল,অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় যেকোন পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।