বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেছেন, সরকার নির্বাচনের নামে নামস্বর্বস্ব দল ও রাজনৈতিক এতিমদের সাথে পিঠা ভাগাভাগির আয়োজন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আবারো কুক্ষিগত করার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করছে। কিন্তু জনগণ তাদের সে পরিকল্পনা কোন ভাবেই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। তিনি নির্বাচন নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল না খেলে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় আগামী দিনে রাজপথ আরো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে।
তিনি আজ রাজধানীর উত্তরায় কেন্দ্র ঘোষিত ৮ম দফা অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসাবে জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতানেতাদের অবিলম্বে মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী পথ সভায় এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বেড়ীবাঁধ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পথ সভার মাধ্যমে শেষ হয়। পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের শুরা সদস্য মাওলানা এম এ আলম, আবু মুসয়াব, আবু সাদিক, শ্রমিক নেতা আবদুল হালিম, আবু বকর সিদ্দিক, ছাত্রনেতা জুলকারনাইন ও রাকিবউদ্দীন প্রমূখ।
জামাল উদ্দীন বলেন, সরকারের লাগামহীন ক্ষমতালিপ্সা দেশ-জাতিস্বত্ত¡া, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে মারাত্মক হুমকীর মুখে ঠেলে দিয়েছে। বাকশালী ও মাফিয়াতান্ত্রিক আদর্শে বিশ^াসী ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অবৈধ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সংবিধান অনুযায়ি আমাদের দেশ গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলেও সরকার দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ অপরাপর নির্বাচন কমিশনাররা সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছেন। দলবাজীর কারণে বর্তমান কমিশন ইতোমধ্যেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তিনি আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি, দলের নিবন্ধন ফিরে দেওয়া সহ বিতর্কিত নির্বাচনের অবিলম্বে পদত্যাগের আহবান জানান। অন্যথায় গণদাবি জনগণ রাজপেথই আদায় করবে ইনশাআল্লাহ।
মিরপুরে বিক্ষোভ-সমাবেশ
কেন্দ্র ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তরের মিরপুরে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি-২ নং বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশিকা মোড়ে এসে শেষ হয়। কর্মসূচিতে শাহ আলি থানা আমীর নকিব ফেরদৌস, মিরপুর উত্তর থানা সেক্রেটারি রফিক রিমন, শাহআলি থানা সেক্রেটারি গোলাম মোঃ হাফিজ, শিবিরের মহানগর ও থানা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রামপুরায় অবরোধ
৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচির ১ম দিনে রামপুরা এলাকায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসুচি পালন করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরী মজলিশে শুরার সদস্য এম জে আহমেদের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মোহাম্মদপুর পশ্চিম
অবরোধের সমর্থনে মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরের বসিলায় রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করেছেন স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা শাহাবুদ্দীন মিজান, হাফিজ সিকদার ও জয়নাল মোল্লা প্রমূখ।