বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা.ফখরুদ্দীন মানিক বলেছেন, সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে এখন আদালতের ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে গণমানুষের সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা রোধ করতে চায়। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে অতীতে জামায়াতের জনপ্রিয়তা ও অগ্রযাত্রা বোধ করা যায়নি; আর কখনো যাবেও না। তিনি সরকারকে অপরাজনীতি পরিহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহবান জানান। অন্যথায় এজন্য তাদেরকে একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত আপীল ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে খারিজের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি হাজীপাড়া থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রামপুরা বেটার লাইভের সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদি, এম জে আহমেদ, মিজানুর রহমান, ছাত্রনেতা আব্দুর রহীম, মীর শিহাব উদ্দীন ও শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ প্রমূখ।
ডা. ফখরুদ্দীন মানিক বলেন, সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এখন জনগণের সাথে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেছে। সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেই দেশে বাকশালী ও ফ্যাসীবাদী শাসন কায়েম করে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা গণতন্ত্রকামী জনতার ওপর রাষ্ট্রশক্তি ও দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এতেও তারা আশ^স্ত না হয়ে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক ময়দানকে প্রতিপক্ষ মুক্ত করতে চায়। কিন্তু বীর জনতা তাদের সে ষড়যন্ত্র কোন ভাবেই বাস্তায়িত হতে দেবে না। তিনি সরকারকে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় রাজপথে জনগণ এর সমূচিত জবাব দেবে।