দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় দীপ্ত শপথ গ্রহণ এবং স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদ মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচী পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রতিটি অধঃস্তন শাখা ও সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে এক বিবৃতিতে নিম্নোক্ত কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
জনাব সেলিম উদ্দিন বলেন, মহান স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। বিশ্বের ইতিহাসে আমাদের মতো অধিক মূল্য দিয়ে কোনো জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেনি। কিন্তু শাসক গোষ্ঠীর ক্ষমতা লিপ্সা, বিভেদ সৃষ্টি ও অপরাজনীতির কারণেই আমাদের এই মহান অর্জন অর্থবহন হয়ে ওঠেনি। স্বাধীনতার মূলতন্ত্র সাম্য, ন্যায়-ইনসাফ, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র দারুনভাবে ভুলুন্ঠিত। হিংসা-বিদ্বেষ, পরিবারতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, ফ্যাসিবাদী আচরণের কারণে দেশের জনগণ স্বাধীনতার সুফল থেকে আজ পুরোপুরি বঞ্চিত। ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে এখন গণতন্ত্রের লেবাসে স্বৈরাচারী শাসনই চলছে। এ থেকে মুক্ত হতে হলে এর অবসানে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীসা ঢালা প্রাচীর। বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভিন্ন রাষ্ট্রের স্বার্থকে পূরণ করে ক্ষমতা আকড়ে থাকতে চায়।
তিনি আরো বলেন, ১৭৫৭ সালের পলাশী ট্র্যাজেডির মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতার লাল সূর্যটা অস্তমিত হয়েছিল। মীর জাফরসহ ক্ষমতালোভী, বিশ্বাসঘাতকদের কারণে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা যখন আবার স্বাধীনতা ফিরে পেলাম তখন চড়া মূল্য দিতে হয়েছে আমাদেরকে। কিন্তু এই কষ্টার্জিত স্বাধীনতা নিয়ে ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি বরং মীর জাফরদের প্রেতাত্মারা আবারো তৎপর হয়ে উঠেছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোন স্বৈরশাসকই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি পারবেও না।
তাই একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়তে আমাদেরকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদ মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় দীপ্ত শপথ গ্রহণ এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ঘোষিত কর্মসূচী পালনে ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রতিটি অধঃস্তন শাখা ও সকল স্তরের নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।