সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে চতুর্থ দফার টানা ৪৮ ঘন্টার অবরোধের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করায় নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এক যৌথ বিবৃতিতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার চলমান গণআন্দোলন দমন করে একতরফা নির্বাচন করার জন্য জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা গণদাবিকে উপেক্ষা করে বিরোধী দল ছাড়াই নির্বাচন করার জন্য বশংবদ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু সংগ্রামী জনতা সরকারি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার জন্য স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। কিন্তু ফ্যাসীবাদী সরকার জনতার ওপর পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে সারাদেশেই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২ দিনে ঢাকা মহানগরী উত্তরের ব্যাপক ধরপাকর ও গণহারে মামলা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সরকার রাজনৈতিক ময়দানকে প্রতিপক্ষ শূণ্য আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে করারুদ্ধ করে রেখেছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাসী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি; আর কারো হবেও না বরং সরকারকে লজ্জাজনকভাবেই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে।
তারা বলেন, সরকার এখন বিদায়ের প্রহর গুণতে শুরু করেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে রাজপথে নেমে এসে টানা ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করে বাকশালী সরকারকে ‘না’ বলে দিয়েছে। তারা সরকারকে একগুয়েমী পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় সরকারকে এ জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
মহানগরী নেতৃদ্বয় টানা ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করায় নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আগামী দিনে যেকোন কর্মসূচি একইভাবে সফল ও স্বার্থক করার আহবান জানান।