বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেছেন, সেবাদাস ও বশংবদ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে মাফিয়া সরকার দেশে আবারো একতরফা নির্বাচন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বীর জনতা সে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনতার এই অবরোধ অব্যাহত থাকবে। তিনি সরকারকে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আহবান জানান। অন্যথায় একতরফা তফসিল ঘোষণার ষড়যন্ত্র জনগণ জীবন দিয়ে হলেও রুখে দেবে-ইনশাআল্লাহ।
তিনি আজ রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অবৈধ ও ফ্যাসীবাদী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ কারাবন্দী সকল জাতীয় নেতার মুক্তির দাবিতে সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী পথ সভায় এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বিমানবন্দরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত পথ সভার মাধ্যমে শেষ হয়। পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরা পুর্ব জোনের টীম সদস্য আবু মুসআব, মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য এম এ হক মোল্লা, এ এইচ শাহনেওয়াজসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
জামাল উদ্দীন বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে। অবাধ গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতিকে আদালতের দোহাই দিয়ে বাতিল করা হয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে ‘দলদাস’ কমিশনে পরিণত করা হয়েছে। বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে দেশের এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে দেশ একটি স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। জনগণকে তাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই জুলুমবাজ ও অগণতান্ত্রিক সরকারের পতনের কোন বিকল্প নেই। তিনি টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় এজন্য সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
পল্লবীতে অবরোধ
অবরোধের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ১২ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী উত্তরের পল্লবী অঞ্চলের জামায়াত কর্মীরা মিরপুর ১১, বাংলা স্কুলের পাশে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত অবরোধে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য সাইফুল কাদের, আবু হানিফ, জামায়াত নেতা জোবায়ের হোসাইন রাজন, মোশাররফ হোসেন,য ুবনেতা মো: হাসানুল বান্না চপল, ছাত্র নেতা মো: তাইয়ান ও আব্দুল কাদের প্রমূখ।
উত্তরায় অবরোধ
দেশব্যাপী ৪র্থ দফা ৪৮ ঘন্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচীর ১ম দিনে কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উত্তরা অঞ্চল। এতে নেতৃত্ব দেন উত্তরা পশ্চিমের থানা আমীর আবু হাসনাঈন । উপস্থিত ছিলেন উত্তরা ও তুরাগের আমির, নায়েবে আমীর ও সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
হাতিরঝিলে জামায়াতের পিকেটিং, মিছিল
সর্বাত্মক অবরোধের ১ম দিনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাতিরঝিল-তেজগাঁও অঞ্চলের কর্মীরা। সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সংগঠনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য এম জে রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী শূরা সদস্য আবু আব্দুল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা কলিম উল্লাহ ও ছাত্রনেতা রায়হান প্রমূখ।
রাজধানীর বাড্ডায় অবরোধ
অবৈধ ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ সকল রাজবন্দী এবং কেয়ারটেকার সরকার ব্যাবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা কুতুব উদ্দীন ও আব্দুস সবুর ফরহাদের নেতৃত্বে বাড্ডা এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আহুত ৪র্থ দফার দুই দিনের সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধের অংশ হিসাবে আজ ১ম দিন রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা অঞ্চল বাড্ডা এলাকায় শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ কর্মসুচি পালন করা করে। উক্ত অবরোধ কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাড্ডা-রামপুরা অঞ্চলের থানা আমীর ও সেক্রেটারি বৃন্দ এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি সহ অসংখ্য নেতা কর্মী।
মোহাম্মদপুর অঞ্চলে অবরোধের সমর্থনে জামায়াতের মিছিল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোহাম্মদপুর অঞ্চল অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করে। ঢাকা মহানগরী উত্তরের শুরা সদস্য মশিউর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি আনিসুর রহমান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও অফিস সম্পাদক আব্দুল হাদী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ কামরুল হোসেন, মাওলা সিরাজুল ইসলাম, সালাহ উদ্দিন, ইত্তিজা হাসান এছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।