দেশে ডেঙ্গু রোগে আরো ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায়। একই সময়ে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৭৯৪ জন। চলতি বছরের গত জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশে রোগটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪১৭ জন এবং মোট আক্রান্ত হয়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার ৬৯৮ জন।
রোগটিতে গতকাল যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ঢাকাতেই ছয় এবং ঢাকার বাইরে বাকি তিনজন মারা গেছে। অন্য দিকে আক্রান্তদের মধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪১৭ এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ৩১৭ জন।
গতকাল দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৬৬২ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৮০৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চার হাজার ৮৫৫ জন রয়েছেন। বর্তমানে মোট আক্রান্তের ২ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর সাথে আজ মঙ্গলবার যোগ হতে হবে নতুন রোগীরা।
সরকারিভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তদের যে তথ্য দেয়া হয় প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। সারা দেশে আক্রান্তদের যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে কেবল তাদের সংখ্যাটাই দেয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে। এর বাইরেও আরো অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে থাকেন কিন্তু সেসব তথ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে আসে না, কারণ রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হয় না।
চিকিৎসকরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের বর্তমান ডেঙ্গু তথা মশক নিধন অভিযান ব্যর্থ। ফলে দেশে সংক্রমণ কমছে না। তারা বলছেন, গতানুগতিক উপায়ে মশক নিধন অভিযান বাদ দিয়ে মশক অভিযানে স্থানীয় জনগণকে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে মশক নিধন না করতে পারলে তা কখনোই সফলতার মুখ দেখবে না। কারণ, সিটি করপোরেশনের যে কর্মকর্তা-কর্মচারী মশক নিধনে কাজ করে থাকেন তাদের অবহেলা রয়েছে। যেখান থেকে চাপ আসতে পারে সেখানে তারা নিয়মিত এবং কার্যকরভাবেই ফগিং অথবা লার্ভিসাইডিং করে থাকে। অন্য দিকে যেসব এলাকায় মশার কীটনাশক না ছিটালেও কোনো সমস্যা হয় না, সেসব এলাকায় তারা দৈনিক যায় না। ফলে এক এলাকা থেকে মশা নিধন করলেও অন্য এলাকায় বেড়ে উঠে। ঢাকার বাসিন্দারা মশক নিধনে এসব বৈষম্য ত্যাগ করে সর্বত্র সমানভাবে কীটনাশক ছিটানোর অনুরোধ করেছেন।