অপশাসন-দুঃশাসন থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে হলে বীরজনতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের ময়দানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক ভার্চুয়াল দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমূখ।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। তারা জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি বরং ভিন্নমত দমনের জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীর মত ব্যবহার করছে। সরকার জনগণের অবরোধ কর্মসূচিকে বাঞ্চাল করার জন্য দলীয় সন্ত্রাসী ও বশংবদ পুলিশ সদস্যদের যুগপৎভাবে মাঠে নামিয়ে সারাদেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শুরু করেছে। কিন্তু হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চালিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না; কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবিও পাশ কাটানো যাবে না। তিনি সরকারকে সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়াটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় রাজপথ আরো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, সরকার নতুন করে তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনকে নির্বিঘœ করতেই বিরোধী মতাদর্শের বিরুদ্ধে দলন-পীড়ন শুরু করেছে। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও ঢাকা মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং বরেণ্য আলেমদের বিনাদোষে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। যা মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় ফ্যাসীবাদী, স্বৈরাচারি ও জুলুমবাজ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তিনি সরকারকে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে গণদাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় তাদের পরিণতি শুভ হবে না।