বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই বীরজনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। কিন্তু জুলুমবাজ ও বাকশালী সরকার জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে এবং নির্বিচারে গুলী চালিয়ে অন্তত ৯ জনকে হত্যা করেছে। কিন্তু এসব করে ফ্যাসীশক্তির কোন ভাবেই শেষ রক্ষা হবে না। তিনি অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতদের রূহের মাগফিরাত এবং আহতদের আশু আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন এবং নিহতদের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান।
তিনি আজ রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এবং বিগত ৩ দিনের অবরোধ চলাকালে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রæত আরোগ্য কামনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পশ্চিম থানা আয়োজিত এক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মকবুল আহমদ ও ফিরোজ আলম প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সহায়ক শক্তি ছিল না; এখনো নয়। তারা যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবার গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় তারা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সরকার দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করে করদরাজ্য বানানোর জন্য আমীরে জামায়ত ডা. শফিকুর রহমান সহ বরেণ্য জাতীয় নেতাদের কারারুদ্ধ করে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস স্বাক্ষী জুলুম-নির্যাতনের ফলাফল অতীতে ভালো হয়নি; আর কখনো হবেও না। তিনি সরকারকে অহমিকা ও একগুয়েমী পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ সকল জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় বাকশালীদের জন্য মহাপ্রলয় অপেক্ষা করছে।
কাফরুল থানা পশ্চিম
কাফরুল থানা পশ্চিমের উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারী ডাক্তার ফখরুদ্দীন মানিক।
থানা আমীর আব্দুল মতিন খানে সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারী আতিক হাসানের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের কাফরুল জোন পরিচালক আব্দুল মালেক, যুব কল্যাণ পরিষদ কাফরুল পশ্চিম থানা সভাপতি যুব নেতা আবু আইমান, যুব নেতা রেজাউল ইসলাম রুমেল, গোলাম মাওলা ও ছাত্রশিবির কাফরুল থানা সভাপতি গোলাম রাব্বানী প্রমূখ।