নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এবং জামায়াতসহ বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে বাধাদান, উপর্যুপরি হামলা, গুলীবর্ষণ ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৩ দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করায় নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এক যৌথ বিবৃতিতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, গণবিচ্ছিন্ন সরকার এখন পতনের প্রহর গুণতে শুরু করেছে। তারা অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার জন্য জনগণের বিরুদ্ধে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সরকার চলমান গণআন্দোলনকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে দমন করার জন্য রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার আগের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে নির্বাচন নামের প্রহসনের খেলায় মেতে উঠেছে। বিনা ভোটের সরকার রাজনৈতিক ময়দানকে প্রতিপক্ষমুক্ত করার জন্যই বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে করারুদ্ধ করে রেখেছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোন স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাসী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি; আর কারো হবেও না বরং দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের তখতে তাউস বালির বাঁধের মত ধসে পড়বে- ইনশাআল্লাহ।
তারা বলেন, সরকারের জুলুম-নির্যাতন যত বাড়ছে রাজপথ ততই অগ্নিগর্ভ ও উত্তাল হয়ে উঠছে। বীর জনতা সরকারের সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে রাজপথে নেমে এসে লাগাতার ৩ দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করে নৈশ্যভোটের সরকারকে লাল বার্তা পাঠিয়েছে। জনগণ অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করায় প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার পুরোপুরি গণবিচ্ছিন্ন ও ম্যান্ডেটহীন। তাই এই সরকারের একমুহুর্তও ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। তারা সরকারকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান।
মহানগরী নেতৃদ্বয় কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করায় নগরবাসীর প্রতি অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আগামী দিনে যেকোন কর্মসূচি একইভাবে সফল ও স্বার্থক করার আহবান জানান।