গণবিরোধী ও নৈশ্য ভোটের সরকারের প্রতি গণঅনাস্থা জানাতে আগামী ২৮ অক্টোবর দলমত নির্বিশেষে মতিঝিলের শাপলা চত্তরের সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মহানগরীর সকল ওয়ার্ড সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং তদুর্ধ্ব দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল দায়িত্বশীল সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় এবং মাওলানা আবু ইহসানের দারসুল কুরআনের মাধ্যমে শুরু হওয়া সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ড. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, সরকার অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা ২০১৪ সালে তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫৩ জন দলীয় প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে দেশের গণতন্ত্রের ললাটে কলঙ্কতিলক লেপন করেছে। ২০১৮ সালের নৈশ্যভোটের নির্বাচন শুধু দেশ ও জাতি নয় বরং প্রযুক্তির কল্যাণে গোটা বিশ^ প্রত্যক্ষ করেছে। যা ক্ষমতাসীনদের নির্লজ্জতা ও বেহাপনার নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। তারা আবারো পাতানো ও সামানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য নতুন করে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। কিন্তু সচেতন জনতা তাদের সে ষড়যন্ত্র কোন ভাবেই সফল হতে দেবে না। তিনি সরকারকে হঠকারিতা পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় বে-ইজ্জতির মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ সাংবিধানিকভাবেই গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তাই এই দেশ জনগণের; কোন ভোট চোর বা স্বৈরাচারির নয়। জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন বা বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি ভÐুল করা তাদের দায়িত্ব নয়। অথচ একশ্রেণির পুলিশ কর্মকর্তার কথায় মনে হচ্ছে, তারাই এখন রাষ্ট্্েরর দÐমুÐের কর্তা বনে গেছেন এবং জনৈক পুলিশ কর্মকর্তা রাজনৈতিক বিষয়ে এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়ে তার পোশাকের অমর্যাদা করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, জনমতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। শান্তিপ্রিয় জনতার গায়ে হাত দেবেন না। কারণ, তাদের কষ্টার্জিত টাকায় আপনাদের বেতন হয়। তিনি জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সংবিধান ও আইন মেনে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। অন্যথায় সীমালঙ্ঘনের জন্য একদিন সকলকেই জনগণের কাছে জবাবদিহী করতে হবে।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ২৮ অক্টোাবরের সাথে আমাদের আবেগ-অনুভ‚তি এবং আত্মসম্মান জড়িত। এদিনের আত্মত্যাগই আমাদের আগামী দিনের প্রেরণার উৎস। ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবরেই সারাদেশে ৩৫ জন ভাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে রাজপথে বুকের তাজা রক্ষ ঢেলে দিয়েছিলেন। তাই শাপলা চত্তরের সমাবেশ থেকে আমাদের পিছুটান নেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী সরকারের পতন ও ২৮ অক্টোবরের শহীদদের স্মরণে সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান।