ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে দেশের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে আত্মনির্ভরশীল ও কর্মমুখী করতে পারলেই ক্ষুধা, দারিদ্র ও বেকারত্বমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গঠন করা সম্ভব; জামায়াত সে লক্ষ্যেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরে খিলক্ষেত থানা পশ্চিম আয়োজিত আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর সরদার এমএ কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মু. সলিমুল্লাহ এবং উলামা বিভাগের পরিচালক মাওলানা মু. ইউসুফসহ থানা শাখা নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, দেশের বর্ধিত জনসংখ্যাকে অনেকে দেশ ও জাতির জন্য বোঝা মনে করা হলেও বাস্তবতা কিন্তু তা নয় বরং দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করে কর্মের হাতিয়ার বানানো গেলে তা হবে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। কারণ, মানুষ শুধু ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে জন্মায় না বরং প্রত্যেকের সাথে দু’টো বলিষ্ঠ হাতও থাকে। আর প্রত্যেক নাগরিকের হাতকে কর্মের হাতিয়ারে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দেশের মানুষ রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমতাবস্থায় এই কাজকে উৎসাহিত করার জন্য সীমিত সামর্থ নিয়ে আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর সাধ্যমত চেষ্টা করছি। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জামায়াত কখনো ক্ষমতায় গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আত্মকর্মসংস্থান ও বেকারাত্ব দূরীকরণের জন্য কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করবে। আর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও দেশ ও জাতির জন্য জামায়াতের এই কল্যাণকামীতা সব সময় অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনকে গতিশীল ও বেগবান করার জন্য সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, গণবিচ্ছিন্ন ও নৈশ্যভোটের সরকার পতনের এখন কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। তারা এখন রীতিমত অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করেছে। নৈশ্যভোটের সরকার এখন খড়কুটার আশ্রয় ও চাপাবাজী করে অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার জন্য দিকবিদিক ছোটাটোটি শুরু করেছে। কিন্তু এতে তাদের শেষ রক্ষা হবে না। কারণ জনগণই হচ্ছে সরকার পতন ও রক্ষার অদ্বিতীয় অনুসঙ্গ। আর এদেশে ভোট চুরির নির্বাচন আর কখনো হতে দেয়া হবে না। তিনি সরকারকে বাস্তবতা উপলব্ধিপূর্বক টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় তাদের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে।