আজ ১০ অক্টোবর, মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এর নেতৃত্বে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল গুরুতর অসুস্থ চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে দেখতে যান। প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু আতাউর রহমান সরকার।
প্রতিনিধি দলকে এভারকেয়ার হাসপাতালে অভ্যর্থনা ও স্বাগত জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ ও ডা. জাফর। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জামায়াত প্রতিনিধি দলকে জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার সাথে সরাসরি দেখা করাটা ক্ষতির কারণ হবে। এমতাবস্থায ডা. তাহের কল্যাণের কথা চিন্তা করে ভিতরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রতিনিধি দল দীর্ঘ সময় হাসপাতালে কাটান এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক, বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে একান্তে কথা বলেন। তারা তার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ খোঁজ-খবর নেন। প্রতিনিধি দল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আশু আরোগ্য কামনা দোয়া করেন।
বলা ১ টার পর জামায়াত প্রতিনিধি দল হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এসে প্রেস ব্রিফিং করেন। ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা দেখতে এসেছিলাম। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ও আশঙ্কাজনক। এমতাবস্থায় গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা করা দরকার। আমরা মনে করি তার সঠিক চিকিৎসা করানো রাষ্ট্রের কর্তব্য, আর তার তা সাংবিধানিক, মৌলিক ও নাগরিক অধিকার। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার জন্য নানা রকম বাহানা করছে। যা দেশবাসী কোনভাবেই মেনে নেবে না’। তিনি খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় যেকোন পরিস্থিতির দায় সরকারকেই বহন করতে হবে বলে তিনি সরকারকে সতর্ক করে দেন।
ডা. তাহের বেগম খালেদা জিয়ার দ্রæত আরোগ্যের জন্য দেশবাসীকে দোয়া করার জন্য আহবান জানান।