জামায়াত একটি গণমুখী ও আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল, স্বাবলম্বী ও হালাল পথে উপার্জন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভাষানটেক থানা আয়োজিত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে আত্মকর্মসংস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের মাঝে সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর জনাব ডা: মো: আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারী হাফেজ আলি হোসাইন, জামায়াত নেতা এমএস রেজা, ইকবাল হোসাইন খান ও সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, সরকারের উপর্যুপরি ব্যর্থতা ও লাগামহীন লুটপাটের কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। ফলে ইতোমধ্যেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে; কমে গেছে ক্রয়ক্ষমতাও। তাই জামায়াত একটি কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল হিসাবে দারিদ্র বিমোচনের জন্য উদ্দ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সীমিত সামর্থ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর হালাল উপার্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, সকলকে হালাল পথে উপার্জন করতে হবে। কারণ হালালে বরাকা পাওয়া যায়; হারামে তা নেই। আর হালাল উপার্জন হচ্ছে সর্বোত্তম জীবিকা। তিনি আত্মনির্ভরশীল ও হালাল পথে রোজগার করার জন্য সকলকে পরিশ্রমী হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য তারা জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে জামায়াত নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ সপ্তাহে মিরপুর, দারুসসালাম, শাহ আলী, শিল্পাঞ্চল থানায় বিভিন্ন বাসা-অফিস থেকে ১৫জন জামায়াত কর্মীকে বিনা ওয়ারেন্টে আটক করে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করেছে। তিনি সরকারকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি পরিহার ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান।