বাংলাদেশ জামায়তে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাবেক কর্মপরিষদ সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালিকা সুফিয়া খাতুন গত ৩০ আগস্ট বিকাল ৩ টায় রাজধানীস্থ ইবনে সিনা স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস সহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভূগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও দক্ষিণখান পূর্ব থানার নায়েবে আমীর মোহাম্মদ আলী, ২ ছেলে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছে।
গতকাল (৩০ আগস্ট) বাদ এশা দক্ষিণখানস্থ আইনুছবাগের আব্দুল ওয়াদুদ জামে মসজিদে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে দক্ষিণখানস্থ ফায়দাবাদ গণকরবস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মরহুমার নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা, উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মোঃ জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামায়াত নেতা এইচ এম আতিকুর রহমান, ড. মাওলানা কামরুল ইসলাম শাহীন ও ইবনে কারীম আহমদ মিঠু প্রমূখ।
সুফিয়া খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এক শোকবাণীতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, সুফিয়া খাতুন ছিলেন ইসলামী নারী আন্দোলনের অগ্রপথিক। তিনি আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় প্রত্যয়ে জীবনের সকল কর্মপ্রচেষ্টা নিয়োজিত করেছিলেন এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ছিলেন অবিচল। তিনি দেশকে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখতেন। মরহুমা নারীদের মধ্যে দ্বীনের দাওয়াত সম্প্রসারণে ছিলেন রীতিমত আপোষহীন।
নেতৃদ্বয় মরহুমার রূহের মাগফিরাত কামনা করে তাকে জান্নাতের আ’লা মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোওয়া করেন। তারা তার পরিবারের শোকাহত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্যধারণের তাওফিক কামনা করেন।