হযরত মাওলানা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহ এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করি
এক শোকবাণীতে মহানগরী উত্তর নেতৃদ্বয় বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, বিশ্বখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, প্রখ্যাত বাগ্মী ও মাজলুম জননেতা হযরত মাওলানা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাহিমাহুল্লাহর ইন্তিকালে মুসলিম উম্মাহ ইসলামী আন্দোলনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো এবং একটি ইতিহাসের একটি সোনালী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের এই একনিষ্ঠ ও কালজয়ী খাদেম অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে কুরআনের শ্বাসত বাণীর প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছেন। দেশের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত তিনি তাফসির মাহফিল করে গণমানুষের কাছে কুরআনের কালজয়ী আহবান পৌঁছে দিয়েছেন সফল ও স্বার্থকভাবে। তিনি তার জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন কুরআনের তাফসীরের ময়দানে আর শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন জালিমের অন্ধকার কারাগার কারা প্রকোষ্টে।
তারা বলেন, আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীন ও দেশে ন্যায়—ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনের শেষ দিন প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। তিনি অন্যায় ও অসত্যের কাছে কখনো মাথানত করেননি বরং সকল জুলুম—নির্যাতন উপেক্ষা করে দ্বীনে হক্বের প্রতি অবিচল থেকেছেন এবং হাসি মুখে কারাজীবনকে বেছে নিয়েছেন। সরকারের জুলুম—নির্যাতন তাকে আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। তার ইন্তিকালে বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও অপূরণীয় শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে; যা সহজে পূরণীয় নয়।
মহানগরী নেতৃদ্বয় মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে তাকে কালামে হাকীমে বর্ণিত প্রশান্ত আত্মা ও শহীদ হিসাবে কবুল নিয়ে জান্নাতুল ফিরদাউসের আ’লা মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করেন। তারা তার শোকাহত পরিবার—পরিজন, আত্মীয়—স্বজন এবং দেশ—বিদেশে ইসলামী আন্দোলনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভাকাক্সক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী এবং অনুরক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্য ধারণ তথা সাবরে জামিলের তাওফিক কামনা করেন।