মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত গায়েবি মামলায় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ ১৮ জনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ ও ১ জনকে ৩ দিনের পুলিশি রিমান্ড এবং ঢাকার দারুসসালাম থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে সাভার থানার গায়েবি মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং রিমান্ড বাতিল করে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এক বিবৃতিতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার গণআন্দোলনে আতঙ্কিত হয়ে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী বিশেষ করে জামায়াতের উপর দলন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা নতুন করে রাজধানীসহ সারাদেশে গণগ্রেফতার শুরু করেছে। সরকার জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লেলিয়ে দেশে এক নৈরাজ্যর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সরকারের দলন-পীড়নের ধারাবাহিকতায় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে ১৮জনকে সম্পূর্ণ বেআইনী ও অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ ও ১ জনকে ৩ দিনের রিমান্ডে এনেছে। সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, একই দিনে ঢাকার দারুসসালাম থানা থেকে ২জনকে গ্রেফতার করে সাভার থানার গায়েবি মামলায় জড়ানো হয়েছে। অথচ গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেকেই নিরাপরাধ এবং আনীত অভিযোগের সাথে তাদের দূরতম সম্পর্ক নেই।
তারা বলেন, মূলত, সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষ তাদের ভোট দেয় না বলেই সরকার তাদের ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ করছে। যা সংবিধান ও আইনের শাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন এবং সরকারের ফ্যাসীবাদ ও বাকশালী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
নেতৃদ্বয় অন্যায়ভাবে ২০ জনকে গ্রেফতার ও ১ জনের পুলিশি রিমান্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আটককৃদের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার ও রিমান্ড বাতিল অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।