অবিলম্বে নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে জনমত যাচাইয়ের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ বাদ জুমা রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এবং মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সহ শীর্ষনেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং ৪ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াত আহুত সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান না করার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১ নং থেকে শুরু হয়ে নগরী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যালে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দীন প্রমূখ।
জুমার নামাজ চলাকালেই নগরীতে মুষলধারে বৃষ্টি নেমে আসে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে এসে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়ে ¯েøাগানে ¯েøাগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে।
ড. রেজাউল করিম বলেন, সরকারের নির্দেশে প্রশাসন আমাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সমাবেশ করা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু ফ্যাসীবাদী ও বাকশালী সরকার সে অধিকার থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করে দেশের শাসনতন্ত্র ও আইনের শাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন এবং সংবিধানের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে। তাই এই স্বৈরাচারি, জুলুমবাজ ও সংবিধান লঙ্ঘনকারী সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই। তিনি সরকারের পতনের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান। অন্যথায় দেশ ও জাতিকে দুঃশাসন মুক্ত করা যাবে না।
তিনি বলেন, সরকার তাদের রাজনৈতিক ময়দান প্রতিপক্ষ মুক্ত করার জন্যই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও মহানগরী উত্তর আমীরে সেলিম উদ্দিন সহ শীর্ষনেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আটক রেখেছে। তারা চলমান সরকার পতনের আন্দোলনকে দমন করার জন্য হামলা, মামলা ও গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। বাড়ি বাড়ি বেআইনী অভিযান চালিয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে বিরোধী দলীয় সমর্থকদের। এজন্য মাঠে নামানো হয়েছে দলীয় হেলমেট বাহিনীকে। কিন্তু হামলা, মামলা ও গণগ্রেফতার চালিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বরং গণরোষে তাদের পতন অনিবার্য হয়ে উঠবে। তিনি সরকারকে জিঘাংসার ও প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ শীর্ষনেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। তাই এই দাবি পাশ কাটানোর কোন সুযোগ নেই। আর দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে আর কোন নির্বাচন হবেনা। জনগণ এই জুলুমবাজ পতনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। যতদিন এই সরকারের পতন হয়নি ততদিন তারা কোন ভাবেই রাজপথ ছাড়বে না। তিনি সরকারকে হঠকারিতা পরিহার ও কেয়াটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনতার কাতারে নেমে আসার আহবান জানান। অন্যথায় গণদাবি জনগণ রাজপথেই আদায় করবে-ইনশাআল্লাহ।