বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত ৩০ জুলাই দেশের সকল জেলা সদরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান, গ্রেফতার ও পুলিশি হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং আজকের কর্মসূচি সফল করায় দেশবাসী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের
অভিনন্দন
জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ৩০ জুলাই এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী তিনদফা দাবির ভিত্তিতে যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তারই অংশ হিসেবে আজ ৩০ জুলাই দেশব্যাপী জেলা সদরে শান্তিপূর্ণ মিছিলের কর্মসূচি পালিত হয়। সরকার আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা প্রদান করে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ, কিশোরগঞ্জ, মেহেরপুর, বাগেরহাট, নরসিংদী, জামালপুর, বি-বাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের বাধা সত্ত্বেও জামায়াতের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় আমি দেশবাসী এবং জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতাকর্মীকে আন্তরিক
অভিনন্দন
জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। সংসদ ভেঙে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন, আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও উলামায়ে-কেরামের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে জামায়াত ঘোষিত শান্তিপূর্ণ মিছিলে হাজার হাজার লোকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, জামায়াতের দাবির প্রতি দেশবাসীর সমর্থন রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী বরাবরই মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা লক্ষ্য করছি সরকার বিনা কারণে এবং অন্যায়ভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মিছিল বাধাগ্রস্ত ও ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে। সরকারের সকল অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়ে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি জনগণ সফল করেছে। জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা যাবে না। মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। আন্দোলন-কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতীতে কোনো সরকারই জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ঠেকাতে পারেনি। বর্তমান জালেম সরকারও পারবে না ইনশাআল্লাহ।
আমরা অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশে শান্তি ও স্বস্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”