ব্যর্থ, জুলুমবাজ ও অগণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে ১ আগস্টের সমাবেশ সফল করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে দলে যোগদান করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা মডেল থানা আয়োজিত ১ আগস্ট বায়তুল মোকাররাম মসজিদ এর উত্তর গেইটে আহুত সমাবেশ বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমীর এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল ও মহানগরী মজলিশে শূরার সদস্য মাহবুবুল আলম প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে এখন জনগণের সাথে অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেছে। তারা চলমান সরকার পতনের গণআন্দোলনকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে দমন করার জন্য দলন-পীড়ন ও গণগ্রেফতারের পথ বেছে নিয়েছে। তারা সারাদেশেই গণগ্রেফতার শুরু করেছে। পুলিশ দিয়ে পেটানো হচ্ছে জাতীয় নেতাদের। আবার তাদের জন্য উপহার পাঠিয়ে সরকার নির্মম পরিহাসে লিপ্ত হয়েছে। বিষয়টি রীতিমত গরু মেরে জুতা দানের শামিল। মূলত, বিনা ভোটের সরকার গণআন্দোলন শুরু হলেই বিভিন্ন ধরনের নাটকের আয়োজন করে। কিন্তু এসব করে সরকার কোন ভাবেই জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না বরং লজ্জাজনকভাবেই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই দেশে মুল্যস্ফীতি এখন ভয়ানক রূপ ধারন করেছে। তারা আসন্ন গণভ্যুত্থান থেকে বাঁচার জন্য আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও মহানগরী আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সহ জামায়াতের শীর্ষনেতাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে। দেশ বরেণ্য আলেম-উলামাও সরকারের জিঘাংসা থেকে মুক্ত নন। তারা পাতানো ও ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। কিন্তু সচেতন জনতা তাদের সে স্বপ্নবিলাস কখনোই সফল ও স্বার্থক হতে দেবে না। তিনি কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করতে সকলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান। অন্যথায় স্বৈরাচারের জগদ্দল পাথর জাতির ঘাড় থেকে নামানো সম্ভব হবে না।