বর্তমান জালেম সরকারকে সরানো সময় ও ঈমানের দাবি: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান হকের পথে থাকলে জুলুম আসতে পারে যেমনটি এসেছিল ইব্রাহিম, মুসা ও রাসূলের (সা.) ওপর। এ পথে নির্যাতন আসবে, গালি শুনতে হবে-গালি ও অপবাদ শোনাটাও সুন্নাত কারণ নবী রাসূলদেরকেও তা শুনতে হয়েছিল। তারা ধৈর্য ধরেছিলেন আমাদেরকেও ধৈর্যধারণ করতে হবে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত পবিত্র আশুরায় আমাদের শিক্ষা শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসার সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা.ফখরুদ্দিন মানিক প্রমুখ। তিনি বলেন, আল্লাহ জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমের পক্ষে থাকেন। বর্তমান সরকার জালেম। এই সরকারকে সরানো সময় ও ঈমানের দাবি। হক নষ্টকারীর বিরুদ্ধে কাজ করা নেকীর কাজ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে হক কথা বলাও উত্তম জিহাদ। এদেশের মানুষ জুলুমের শিকার। কি কারণে অনেককে গুম করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে আজকে তাও জানা যায় না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানুষের হক আদায়ের চেষ্টা করছে। এজন্যই দলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জামায়াত আমীর বলেন, এই সরকার ক্ষমতার মোহে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কেয়ারটেকার সরকার বিলুপ্ত করেছে। এই জালেম সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর পথে তার দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। আমাদের সেই কাজকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোরআনের আইন কায়েমের চেষ্টা করছে জামায়াতের কর্মীরা, সেই কাজেও বাধা দিচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকার অনেক দলকে সমাবেশ করতে দিচ্ছে, আবার অনেককে দিচ্ছে না এটাও জুলুম। অধ্যাপক মুজিব আশুরার শিক্ষার বিষয়ে বলেন, রাসূল সা. দ্বীন কায়েম করতে যেভাবে কষ্ট স্বীকার করে কাজ করেছেন.. আমাদেরকেও সেভাবে কষ্ট স্বীকার করে কাজ করতে হবে। ইসলামে রাজনীতি আছে, ইসলাম চালু রাখতে হবে এবং ইসলামকে জীবন বিধান হিসাবে সমাজে কায়েম করতে হবে, এটাই আশূরার শিক্ষা। সভাপতির বক্তব্যে আব্দুর রহমান মূসা বলেন, আশুরার শিক্ষা হচ্ছে মাথা নত না করা। এই কাজটি আমাদের করতে হবে। যারা ক্ষমতায় থাকতে ইসলামের ধারাকে বাদ দেয় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমরা আল্লাহর নিয়ম ও ইসলামের ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাই। বাংলাদেশের জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশকে আজ কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। মানুষকে এই কারাগার থেকে মুক্ত করতে আগামী ১ আগস্টের সমাবেশ সফল করার নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। মহানগরী সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম বলেন, আশুরা হলো মানবতার মুক্তি, মানবাধিকার রক্ষা, সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আমাদের শাহাদাতের তামান্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আজও রক্ত ঝড়ছে শোষিত বঞ্চিত মানুষের। জামায়াত প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। আমাদের নেতৃবৃন্দ রক্ত ঢেলে দিয়েছে তবুও আপোষ করেনি। এখনো শীর্ষ নেতারা কারারুদ্ধ। দেশে ইসলামপন্থীদের ওপর জুলুম, নিষ্পেষণ চলছে।