বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী কল্যাণমুখী রাজনীতির পাশাপাশি যেকোন ক্রান্তিকাল ও দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে গণমানুষের দুর্দশা লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। মানুষের কল্যাণের সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই আমরা প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সাথে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগী করার জন্য সামান্য ঈদ সামগ্রী নিয়ে আপনার কাছে হাজির হয়েছি। যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। গণমানুষের জন্য জামায়াতের এই কল্যাণকামীতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশা আল্লাহ। তিনি সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সমাজের সক্ষম ও বিত্তবান মানুষের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের তুরাগ দক্ষিণ থানা আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মেজবাহ উদ্দীন নাঈমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ইবনে কারীম আহমদ মিঠু। আরও উপস্থিত শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ তুরাগ উত্তর থানা আমীর শাহেদুর রহমান মোল্লা, সেক্রেটারি মাহবুব আলম, জামায়াত নেতা সাইফুর রহমান ও আতিকুর রহমান প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ঈদ মানেই আনন্দ। তাই এই আনন্দঘন মুহুর্ত সবার জন্যই সমান ও অবারিত হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে অর্থ-বিত্ত ও সামর্থের ভিন্নতার কারণেই ঈদের আনন্দ সবার জন্যই সমান্তরাল হয় না বরং শ্রেণি বিশেষে ভিন্নতা দেখা দেয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী সংগঠন হিসেবে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য সীমিত পরিসরে রাখার জন্য অর্ধশতাব্দীর অধিককাল আগে থেকেই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে একটি ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে যাচ্ছে। মূলত এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় জনগণ রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। রাষ্ট্রের প্রয়োজন ব্যক্তি বা সাংগঠনিক পর্যায়ে সমাধান করা সম্বব না হলেও আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগির জন্য এগিয়ে এসেছি। হয়তো আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ঈদ কিছুটা হলেও আনন্দঘন করবে। তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।