‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ্য প্রজন্মের দেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের যুব বিভাগ গুলশান পূর্ব থানার উদ্যোগে আজ সকালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী উত্তর যুব বিভাগের সভাপতি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুলশান থানার পূর্বের ভারপ্রাপ্ত আমীর আবু জুনায়েদ।
অতিথিবৃন্দ গুলশান লেকপাড় ও আশে পাশের এলাকায় ময়লা-আর্বজনা পরিস্কার করে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা এবং কলম কাটিং চারা গাছ রোপণ করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গুলশান পূর্ব যুব বিভাগের কার্যকরী কমিটির সদস্য আব্দুল মোতালেব, মাওলানা রহমত উল্লাহ, আবু দোয়া, আঃ মতিন, মাওঃ ইদ্রিস এবং তালিম হোসেন রাহাত প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে ডা. মানিক বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা ও সারা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, খাদ্য ঘাটতি পূরণ ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। সচেতনতার অভাবে চলছে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন। ফলে জীবন ধারণের নিয়ামক অক্সিজেনের সরবরাহ হ্রাস পাচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং একই সাথে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে মারাত্মক ভাবে। তাই বৃক্ষরোপনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জাতীয়ভাবে কর্মসূচী গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবী।
তিনি আরো বলেন, বৃক্ষ রোপন এবং পরিচর্যা সর্ম্পকেও একাধিক হাদিসে সুস্পষ্ট উত্তম পুরষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তবে তা উৎপাদনকারীর জন্য সদকা (দান) স্বরূপ গণ্য হবে।’ (বুখারি, মুসলিম) তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং মহান রাব্বুল আলামিনের কাছ থেকে উত্তম প্রতিদানের আশায় প্রত্যেককে ব্যাক্তিগতভাবে ১ টি ফলজ, ১টি বনজ এবং একটি ওষুধী গাছ রোপনের জন্য আহবান জানান।