বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা বলেছেন, সরকারসহ সিটি কর্পোরেশনগুলোর উপর্যপরি ব্যর্থতার কারণেই রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। প্রাণও হারাচ্ছেন অনেকেই। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। তিনি ডেঙ্গু রোগীদের সার্বিক সহযোগিতা দানের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি আজ সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের দক্ষিণখান পশ্চিম থানা আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন অভিযান ও মশারী বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন। আরো উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মামুন মিয়া, জামায়াত নেতা ডাঃ আবু তাহের ও ডাঃ এম এ আলম প্রমূখ।
রে প্রধান অতিথি মশক নিধন অভিযানের অংশ হিসাবে রাজধানীতে জামায়াতের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী জীবাণু নাশক ছিটানো ও মশারী বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, মূলত, ডেঙ্গু একটি এডিস মশাবাহিত ভাইরাস রোগ। কিন্তু এ রোগের এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। তাই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আগেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন ও কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা করা দরকার। মূলত, এডিসের বিস্তাররোধ ও মোকাবেলায় পরিচ্ছন্ন নগরায়নের কোন বিকল্প নেই। সবার আগে এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো কার্যকর ভাবে ধ্বংস করার দরকার। এজন্য সিটি কর্পোশনগুলোকে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা এবং জীবণু নাশক স্প্রে করা জরুরি। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের কাজ একেবারেই দায়সারা গোছের। মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় জীবাণু নাশক ছিটানো দেখা গেলেও মানহীনতার কারণে তা খুব একটা ফলদায়ক হয় না বরং এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হয়। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার সহ সিটি কর্পোরেশনগুলোকে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
তিনি বলেন, প্রতি বছর বর্ষাকালে আমাদের দেশে ডেঙ্গুর প্রাদূর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু রাজধানীতে এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আর গণসচেতনার অভাবও পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি ঘটিয়েছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। বাড়ীর আশেপাশে বা মহল্লায় এডিসের কোন প্রজনন স্থান লক্ষ্য করা গেলে তা নিজ উদ্যোগেই সিটি কর্পোরেশন সহ সংশিষ্ট বিভাগকে জানাতে হবে। সম্ভব হলে নিজেরাই এসব ধবংসে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজ বাড়ীতে মশক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রত্যেককে মশারী ব্যবহার করতে হবে। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত সামাজিক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহবান জানান।