পবিত্র ঈদুল আযহার ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ফ্যাসীবাদী, গণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রামে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পশ্চিম থানা আয়োজিত এক ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমীর মোঃ মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারী ফিরোজ আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমীর আবু হোসেন, ওয়ার্ড সেক্রেটারী গিয়াস উদ্দিন, হাফেজ এরশাদুল্লাহ, জামায়াত নেতা হাফেজ মাহবুবুর রহমান, আশিকুর রহমান ও নাজিম উদ্দীন প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা সুখে-দুঃখে জামায়াত জনগণের পাশে থাকার সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। সে ধারাবাহিকতায় এবার আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঈদকে আনন্দঘন করার জন্য কোরবানী গোস্ত বিতরণ করেছি। জামায়াত কর্মীরা সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বর্জ অপসারণে আন্তরিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। বিগত ১৪ বছরে সরকার জামায়াতের ওপর ব্যাপক জুলুম-নির্যাতন চালালেও আমাদের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় ঈর্শ^নীয়ভাবে বেড়েছে। সাবেক আমীরে জামায়াত শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ৩ টি মন্ত্রণালয় সফল, স্বার্থক ও দুর্নীতিমুক্তভাবে পরিচালনা করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনন্য নজীর স্থাপন করেছেন। তিনি শহীদদের অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে নতুন করে প্রত্যয় গ্রহণের আহবান জানান। মহানগরী সেক্রেটারি আমীরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, এটিএম আজহারুল ইসলাম, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পাওয়ার ও ঢাকা মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সহ কারাবন্দী সকল শীর্ষনেতার নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করেন।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত ও বিনাভোটের সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। অথচ জুলুমবাজ সরকার জামায়াতের শীর্ষনেতাদের একের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা দেশের পবিত্র জমিনকে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত করেছে। তারপরও যারা সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাতের কল্পকাহিনী প্রচার করছেন তারা মূলত জামায়াতের জনপ্রিয়তা ও অগ্রগতিতে ইশর্^ান্বিত হয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে সরকার বিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করতে চায়। মূলত, তারাই সরকারের সাথে আঁতাত করেছে বলেই মনে হচ্ছে। আর জামায়াত কখনো কারো অনুকম্পা বা দয়া-দাক্ষিণ্য নিয়ে রাজনীতি করে না বরং জনগণের সমর্থন নিয়ে জামায়াত কাঙ্খিত গন্তব্যের দিকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি চলমান আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে আঁতাতের রূপকথা প্রচার না করে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় জাতির ঘাড় থেকে স্বৈরাচারের জগদ্দল পাথর সরানো যাবে না।