বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বিষয়ে ওয়াশিংটন এরই মধ্যে তাদের প্রত্যাশা ‘স্পষ্ট করেছে’ বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী জন কিরবি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন মোদি। সফরকালে তিনি মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। আজ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। এ বৈঠকে যাতে ভারতে গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, সে জন্য অনুরোধ জানিয়ে বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন ৭৫ কংগ্রেসম্যান।
মোদির সফরকে কেন্দ্র করে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় বাংলাদেশি এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের নির্বাচন এবং ভারতের ভূমিকা নিয়ে। ওই সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের সমর্থনে ইতোমধ্যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারত থাকবে বলে কি আপনি মনে করেন? ওই সাংবাদিক বাংলাদেশের ২০১৪ ও ’১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতীয় প্রভাব আমরা লক্ষ্য করছি। জবাবে জন কিরবি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে ভারত সরকারের যা বলার, সেটি তাদেরই বলতে দেওয়া উচিত। বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশার কথা আমরা ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছি। বাংলাদেশে নির্বাচনে যারা বাধা সৃষ্টি করবে এমন ব্যক্তিদের ভ্রমণ ঠেকাতে আমরা ভিসা নীতি গ্রহণ করেছি