আজ সোমবার মহানগরী নেতৃদ্বয় পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে নগরবাসীর উদ্দেশে দেয়া এক শুভেচ্ছা বাণীতে এসব কথা বলেন।
যৌথ শুভেচ্ছা বাণীতে দায়িত্বশীলরা বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশ পালনার্থে মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ.) স্বীয় পুত্র হযরত ঈসমাইল (আ.)কে কুরবানি করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। আদর্শ অনুসরণ ও ত্যাগের পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হওয়ায় মুসলিম উম্মাহ দিবসটিকে পবিত্র ঈদ উল আযহা হিসাবে পালন করে আসছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য, তার প্রকৃত সন্তুষ্টি ও মানবকল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগই ঈদ উল আযহার প্রকৃত শিক্ষা। বস্তুত, নিজেদের প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপই পশু কুরবানি ও ঈদ উল আযহার প্রকৃত উদ্দেশ্য।
কালামে হাকীমে বলা হয়েছে, ‘কুরবানির পশুর রক্ত, গোশত কোন কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, পৌঁছে কেবল তোমাদের তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি’ (সুরা হজ্জ, আয়াত-৩৭)। তাই কুরবানির শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মগঠন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আর্ত-মানবতার মুক্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মহানগরী নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, অন্যায়-অসত্য, অনাচার-পাপাচার, হিংসা-বিদ্বেষ, জুলুম-নির্যাতন, বিভেদ-বিসংবাদ বন্ধ করে সমাজ-রাষ্ট্রে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবজাতির প্রকৃত কল্যাণ সাধন সকলকে ব্রতী হতে হবে। আর কুরবানি হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণময় নিদর্শন। আর সে কল্যাণকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোই মু’মিন জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
নেতৃদ্বয়, পবিত্র ঈদ উল আযহার আগেই মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহামান, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমীর ও সাবেক সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ কারাবন্দী সকল আলেম-উলামা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান এবং নগরবাসীর প্রতি ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।