রাজধানীর পল্টন থানায় ২০২১ সালে দায়ের করা এক মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ। এ আবেদনের উপর ওপর শুনানির জন্য আগামী ২১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে পল্টন থানার এ মামলায় গত ১৩ জুন তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. সালাহ উদ্দিন কাদের।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামীর উপস্থিতিতে শুনানির জন্য গতকাল দিন ধার্য করেন। আসামীপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কামাল উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, লুৎফর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, আশরাফুজ্জামান শাকিল, মো: মোজাহিদুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান সহ শতাধিক আইনজীবী। এ সময় তারা আসামিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিরোধিতা করেন। এসময় আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। এর আগে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুনানীতে এডভোকেট শিশির মনির বলেন, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে গ্রেফতার করার পর হাইকোর্ট থেকে তার জামিন মঞ্জুর হলে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর আপিল বিভাগ থেকে জামিন দেয়া হয়। পরবর্তীতে আরো একটি মামলায় গ্রেফতার করা হলে সে মামলায়ও হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে আরো একাধিক মামলায় পুনরায় গ্রেফতার করা হলে সেসব মামলায়ও তিনি জামিন লাভ করেন। এভাবে বার বার নাম না থাকা সত্ত্বেও সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানোর কারণে বিনা পরোয়ানায় সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে তাকে গ্রেফতার না করার জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অফিসারগণ এ মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতারের আবেদন করা আদালত অবমাননার শামিল।
তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নামে কোন মামলা থাকলে তাকে গ্রেফতার দেখাতে আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গ্রেফতার দেখানো হলে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।