ঈদুল আজহার আগেই চিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি ১৪০ এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৫০ টাকা করতে চায় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। ২২ জুন থেকে এই বাড়তি দাম কার্যকর করা হবে। সোমবার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ১১ মে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ায় দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি ১২০ এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমদানিকারক ও খুচরা ব্যবসায়ী কেউই মানেনি ওই দর। খোলা ও প্যাকেটজাত-উভয় চিনিই বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা এক মাস ধরে একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে ৬ জুন খোলা চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনির দাম ২৫ টাকা বাড়াতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেয় সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। ট্যারিফ কমিশনে পাঠানো চিঠিতে আমদানিকারকরা বলেন, বিশ্ববাজার থেকে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি ৬৪০ থেকে ৬৫০ ডলার দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এসব চিনি প্রসেস করে বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমদানি মূল্য, ডলারের বিনিময় হার, বর্ধিত ব্যাংক সুদ, জাহাজ বিলম্বিত জরিমানা এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনা করে দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমদানিকারকরা আবেদন করলেও এখনই দাম বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম এবং আনুষঙ্গিক খরচ পর্যালোচনা করা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নয়াবাজারের মুদি দোকানদার আল আমিন বলেন, চিনির দাম ফের বাড়াতে মিলমালিকরা কারসাজি করছেন। কয়েকদিন ধরে সরবরাহ আবারও কমিয়ে দিয়েছেন। সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করলেও খুচরা বাজারে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, মিল পর্যায় থেকে সরকারের আদেশ না মেনে বেশি দামে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে কেজিতে ২০ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে।