ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার সংগ্রামে জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই আপোষহীন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর সদর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ লক্ষ্মীপুরে ভালবাসার বন্ধন প্রবাসী ফোরাম ১১নং হাজিপাড়া ইউনিয়ন আয়োজিত একটি অসহায় ও গৃহহীন পরিবারকে ৪০টি ঢেউটিন এবং ২টি পরিবারের চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। লক্ষ্মীপুর সদর উন্নয়নের সহ-সভাপতি মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম খান সুমন। উপস্থিত ছিলেন হাজীপাড়া ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুর রহীম, সমাজসেবক খোকন আকিব ও শাহজাহান প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি গণমূখী, কল্যাণকামী ও আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন। জামায়াত স্বাধীনতা পূর্ব ও উত্তরকালে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করে এসেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মূলত, নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হলেও দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় জনগণ রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী একটি গণমূখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের সাধ্যমত চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু রাষ্ট্রের প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে মেটানো সম্ভব নয়। তাই জনগণের সকল সমস্যা সমাধানে দেশকে ন্যায়-ইনসাফেরভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার কোন বিকল্প নেই। তিনি সুনাগরিক তৈরি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করে শান্তির সমাজ বিনির্মাণে সকলকে জামায়াতে পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বেকারত্ব ও দারিদ্র আমাদের জাতীয় জীবনের অন্যতম প্রধান সমস্যা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অপশাসন, দুঃশাসন, স্বেচ্ছাচারিতা, লাগামহীন দুর্নীতি ও বেপরোয়া লুটপাট। মূলত সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা গেলেই দেশের প্রত্যেক নাগরিককে আত্মনির্ভরশীল, কর্মমূখী ও সাবলম্বী করে তোলা সম্ভব। আর এটিই হচ্ছে জামায়াতের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যই ও লক্ষ্য। জামায়াত যে এক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা সাবেক আমীরে জামায়াত শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ৩ টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে স্বার্থক ও সফলভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই দেশকে কল্যাণ ও গণমূখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে জামায়াতে ইসলামীর সরকারের কোন বিকল্প নেই। তিনি আগামী সংসদীয় নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীদের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, সরকার নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি পাশ কাটানোর জন্য নানা ছলচাতুরী ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। তারা অতীতের মত ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণরায় চুরি করে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। কিন্তু সচেতন জনতা তাদের সে স্বপ্নবিলাস কখনোই সফল ও স্বার্থক হতে দেবে না। তিনি সরকারকে টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ এবং নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা আহবান জানান। অন্যথায় গণদাবি রাজপথেই আদায় করা হবে ইনশাআল্লাহ