উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার উজানে ভারতে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকায় হলুদ সংকেত জারি হয়েছে। সেই পানি উজান থেকে ভারতের মেখলিগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। ইতিমধ্যে উজানের ঢলের পানির চাপ কমাতে নীলফামারীর ডালিয়া ও দোয়ানীতে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দোমহনী বন্যা পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে জানায়, ভারত তাদের এলাকার দোমহনী থেকে মেখলিগঞ্জ (বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত) হলুদ সংকেত জারি করেছে।
তারা বলছে, সিকিম, দার্জিলিং পাহাড়ে ও সমতলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি কারণে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজে পানির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ কারণে বেশ কিছু জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিস্তার গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ২৫৬৪ কিউমেকের বেশি পানি ছাড়া হয়েছে। উজানের পাহাড়ে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে তিস্তা নদী পানি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ভারতের দোমহনী পয়েন্টে আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার (৮৫.৯৬) অতিক্রম করে ৮৬.০১ মিটার বাড়বে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বর্তমানে আজ শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ভারতের দোমহনী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৮৫.৬৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র গেজ রিডার নুরুল ইসলাম জানান, আমরা ভারতের দোমহনী তিস্তা পয়েন্টে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ভারতের দোমহনী পয়েন্টে তারা হলুদ সংকেত জারি করেছে। তিস্তার পানি ভারতের ওই পয়েন্টেও বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা হলুদ সংকেত ঘোষণা করেছে। উজানের ঢল নামলে তলিয়ে যেতে পারে তিস্তার উজান ও ভাটি অঞ্চলের চরাঞ্চলের বসবাসকৃত মানুষজনের ঘরবাড়ি।