ঢাকা ওয়াসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (মিটার রিডার) মীর মো. তালেবুল ইসলাম তালেব। সব মিলে এখন বেতন ২৪ হাজার ১১০ টাকা। রাজধানীর অভিজাত এলাকা উত্তরায় তিনটি ফ্ল্যাটের মালিকানা তাঁর। সরেজমিন ফ্ল্যাটগুলোর সত্যতা পেয়ে যাচাইয়ে দেখা যায়, এগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে ৪ কোটি টাকা। স্বল্প বেতনের চাকরি করেও এত টাকার সম্পদ কীভাবে করা সম্ভব– জানতে চাইলে তালেবুল ইসলাম সমকালকে জানান, ২০০৫ সালে চারজন মিলে প্লট কেনেন। সমান অনুপাতে খরচ দিয়ে বাড়ি করার পর ভাগে তিনটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। একটিতে পরিবার নিয়ে থাকছেন, বাকি দুটি ভাড়া দেওয়া। ভবন নির্মাণে মোট খরচ বলতে নারাজ তালেবুল গর্ব করেই বলেন, ‘অস্বচ্ছতার লেশমাত্র নেই। সবকিছু আয়কর রিটার্নে দেখানো আছে।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষও জানে। এ জন্যই সততার পুরস্কার হিসেবে সম্প্রতি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার (সিনিয়র মিটার রিডার) দায়িত্ব পেয়েছি।’
তালেবুলের মতো ঢাকা ওয়াসার বেশিরভাগ মিটার রিডার ‘আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ’ হাতে বসে আছেন। শুধু ঘষতে দেরি, সম্পদ হতে দেরি নেই। পানির দর কষতে যে বেগে মিটারের চাকা ঘুরছে, তার চেয়েও বুলেট গতিতে তাঁদের ভাগ্য বদলে গেছে। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে মিটার রিডাররা ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি-গাড়ি, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সমকালের অনুসন্ধানে এমন ডজনখানেক কর্মচারীর অঢেল সম্পদের তথ্য মিলেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মিটার রিডাররা বাণিজ্যিক বিলকে আবাসিক হিসাবে করে মালিকের কাছ থেকে কমিশন নেন। রিডিং কমবেশি দেখিয়ে উৎকোচ গ্রহণ, এমনকি ৩ লাখ টাকার বিল ২৫ হাজার করার মতো নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেন। তাঁরা কেউই বিত্তশালী পরিবারের না হলেও এখন দামি বাড়ি-গাড়ি ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও ঢাকা ওয়াসার এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) তাকসিম এ খানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানি সমকালকে বলেন, ‘মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে আসা এসব অভিযোগ অস্বীকার কিংবা মিথ্যা বলার অবকাশ নেই। নিজেই অনেক অনিয়ম ধরে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং কয়েকজনকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হলে, কথা বলায় বোর্ড মিটিংয়ে আমাকেই অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব তোলা হয়।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সমকালকে বলেন, ‘ওয়াসার মিটার রিডাররা যে বেতন-ভাতা পান, তার সঙ্গে অর্জিত সম্পদের অসামঞ্জস্য স্পষ্ট। এ ধরনের অভিযোগের তদন্ত করা উচিত। আগে থেকেই মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে রিডিং প্রতারণা, ভয় দেখিয়ে গ্রাহক থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসারই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
তালেবুল ইসলাম ঢাকা ওয়াসার উত্তরার (রাজস্ব জোন-৯) মিটার রিডার। ২ জুন সরেজমিন উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১০/বি সড়কের ২৯ নম্বর ‘বন্ধন’ ভবনের ছয়তলায় তাঁর দুটি ফ্ল্যাটের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটে নিজে থাকেন। ১ হাজার ৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন। একই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১ হাজার ৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটও ভাড়া দিয়েছেন তালেবুল। পাশের ভবনের মালিকরা জানান, পাঁচ কাঠার প্লটে নির্মিত ওই ভবনের বাকি মালিক রাজউকের সাবেক পরিচালক নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব। চারজনই তিনটি করে ফ্ল্যাট পেয়েছেন।
ছয়তলা বাড়ির মালিক ওয়ারেস মুন্সি
যাত্রাবাড়ী এলাকার (জোন-১) মিটার রিডার ওয়ারেস হোসেন মুন্সি। বিল বেশি করার হুমকি দিয়ে বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ২০১০ সালে বরখাস্ত হন। সরেজমিন ৩২২/১ পীরেরবাগে পাঁচ কাঠা জমির ওপর ওয়ারেস মুন্সির ছয়তলা বাড়ি পাওয়া গেছে। বাড়ির মূল ফটকের দুই পাশে দুটি দোকান– রহিমা জেনারেল স্টোর ও আল আমিন স্যানিটারি। ছোট সাইনবোর্ডে লেখা, ‘এই বাড়িটি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের গৃহায়ন বিনিয়োগ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত’। রহিমা জেনারেল স্টোরের মালিক জানান, তিনি দোকান ভাড়া নিয়েছেন, মালিকের বিষয়ে জানেন না।
ওয়ারেস মুন্সি সমকালকে বলেন, ‘বেশ আগে জমি কিনে টিনশেড বাড়ি বানিয়ে ভাড়া দেন। পরে ৪০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে বাড়িটি করেছেন।’ ওয়াসাতেই চাকরি করেন ওয়ারেস মুন্সির ভাই পারভেজ। তিনি ছাড়াও অনেকেই বাড়ির মালিক জানিয়ে ওয়ারেস মুন্সি বলেন, ‘আমি সহজসরল, কোনো ঝামেলায় নেই।’
নিপুর আছে প্লট-ফ্ল্যাট
মিরপুরের ১১৮/বি আহম্মদনগরে মিরপুর এলাকার (জোন-১০) মিটার রিডার খায়রুল হাসান নিপুর রয়েছে পাঁচ কাঠার একটি প্লট। সরেজমিন দেখা যায়, প্লটের ফটকে নীল নেমপ্লেটে সাদা রঙে লেখা ‘মিথিলা মঞ্জিল’। ভেতরে গোটা বিশেক টিনশেড রুম ভাড়া দেওয়া। এক ভাড়াটিয়া জানান, হাবলুর পুকুরপাড় মোড়ের ডান দিকে নতুন সাদা বিল্ডিংয়ে নিপু থাকেন। তাঁরা ১০ জন মিলে জমি কিনে ভবন বানিয়ে ফ্ল্যাট ভাগ করে নিয়েছেন। একটি ফ্ল্যাটে নিপু পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। ৬০ ফুট সড়কেও তাঁর একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। অফিস শেষে সেখানে নিয়মিত বসেন। হাবলুর পুকুরপাড়ে গিয়ে জানা যায়, ১৮৪ আহম্মদনগরে যে ফ্ল্যাটে নিপু বাস করছেন, তার দাম ১ কোটি টাকার ওপরে। তাঁর আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে ১৮৪/৩ এ নম্বর হোল্ডিংয়ে। প্রায় কোটি টাকা দামের এ ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছেন। ব্যক্তিগত বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন নিপু।
সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল হাসান নিপু বলেন, ‘মিথিলা মঞ্জিল দূরসম্পর্কের এক ভাইয়ের।’ কিন্তু পানির বিল তো আপনার নামে ইস্যু করা– প্রশ্ন করলে পরে কথা বলতে চেয়ে ফোন কেটে দেন।
দুটি বহুতল ভবনের মালিক তাসাদ্দেক
ওয়াসার পাম্প অপারেটর তাসাদ্দেক হোসেনের ১৬/২/বি পূর্ব বাসাবোয় রয়েছে ছয় কাঠা জমিতে আটতলা বাড়ি ‘মঙ্গলদ্বীপ’। তাঁর ঘনিষ্ঠ একজন জানান, নন্দীপাড়া ব্রিজ থেকে ১০০ গজ এগিয়ে দক্ষিণগাঁওয়ে পাঁচ কাঠার ওপর তাসাদ্দেকের আরেকটি তিনতলা বাড়ি রয়েছে। সেটি ভাড়া দেওয়া। অথচ তাঁর মূল বেতন ৯ হাজার ৩০০ টাকা। সম্প্রতি অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটি শুরু হলেও তাসাদ্দেক অফিস করেন নিয়মিত। অবশ্য সব তথ্য অস্বীকার করে তাসাদ্দেক বলেন, ‘মঙ্গলদ্বীপ কানাডাপ্রবাসী ভাই মোসাদ্দেকের। আমি বসবাস করছি। দক্ষিণগাঁওয়ে কোনো বাড়ি নেই। লোকজন হয়রানি করতে এসব বলে থাকেন।’
আফিয়া হাউজের কর্ণধার আনোয়ার
রাজস্ব জোন-৭-এর (যাত্রাবাড়ী এলাকা) মিটার রিডার স ম আনোয়ার হোসেনের ৩২৭/৫/এ পশ্চিম পীরেরবাগে রয়েছে সাততলা বাড়ি। বাড়ির ফটকে শ্বেতপাথরে খোদাই করে লেখা ‘আফিয়া হাউজ’। সম্প্রতি সততার পুরস্কার হিসেবে আনোয়ারকে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দিয়েছে ওয়াসা। ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আলিশান ভবনে কর্মচারীদের ফ্ল্যাট
রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মেরাজনগরে ‘বি’ ব্লকের ১৬৭ নম্বর হোল্ডিংয়ের ‘স্বজন বিলাস’ নামের আলিশান বাড়ি। অন্যদের সঙ্গে এ বাড়ির মালিকানায় আছেন ওয়াসার জোন-২-এর (পুরান ঢাকা) পাম্প অপারেটর আশকার ইবনে শায়খ খাজা, সহকারী মেকানিক রফিকুল ইসলাম ও শিক্ষানবিশ পাম্প অপারেটর মো. মাসুদ। মাসুদ আশকার শায়খের শ্যালক। রফিক পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকেন। স্ত্রীর এক ভাই পরিবার নিয়ে স্বজন বিলাসের দোতলার ফ্ল্যাটে থাকেন। আশকার শায়খ তিনতলা ও মাসুদ চারতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন। এখানে ওয়াসার আরেক কর্মচারীর ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা গেলেও তাঁর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আশকার শায়খের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান। অবশ্য ওই ভবনে তাঁর কোনো ফ্ল্যাট নেই বলে দাবি করেছেন রফিকুল।
পিছিয়ে নেই ফারুক-জুলফিকারও
প্ল্যানিং সহকারীর মতো তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে যোগ দিয়ে ফারুক হোসেন বর্তমানে জোন-৯-এর (উত্তরা এলাকা) উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা। অথচ তাঁর কাজ করার কথা প্রশাসনে। মিরপুরের পীরেরবাগের ৩২৭/৫ হোল্ডিং নম্বরে ছয় কাঠা জমির ওপর করেছেন ছয়তলা বাড়ি। বাড়ির ফটকেও লেখা ‘মো. ফারুক হোসেন’। নীল ও আকাশি রঙের ফটকের দৃষ্টিনন্দন বাড়িটির আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা জানান, সাভারেও ফারুকের আরেকটি বাড়ি আছে বলে তাঁরা শুনেছেন।
একইভাবে অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যাওয়া ঢাকা ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী জুলফিকার আলীর ৩৩৪/১ পশ্চিম পীরেরবাগে রয়েছে আটতলা বাড়ি। ‘সিরাজ মঞ্জিল’ নামের নীলরঙা বাড়ির দক্ষিণ দিকের নিচতলায় চারটি দোকান ভাড়া দেওয়া। নিরাপত্তাকর্মী জানান, স্যার তিনতলায় থাকেন। বাড়ির নাম দিয়েছেন বাবার নামে। তৈরির সময় ৫ কোটি টাকার মতো খরচ হলেও এখন দাম ১০ কোটির ওপরে।
হাসপাতালের মালিক ‘গুরু’ মোস্তফা
দুর্নীতিবাজ মিটার রিডারদের গুরু বলে পরিচিত ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল। তিনি মিরপুরের ১৭৩/৬ পশ্চিম কাফরুলে পাঁচ কাঠা জমিতে ছয়তলা বাড়ি করেছেন। তৃতীয়তলায় নিজে থাকেন। যদিও কাগজ-কলমে বাড়ির মালিক প্রয়াত বাবা ইদ্রিস মিয়া। বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী জানান, এখানে মোস্তফার এক ভাই ও এক বোন পরিবার নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২২ নম্বর রোডে ইয়র্ক হাসপাতালের মালিক মোস্তফা। ভাই ডা. জগলুলকে নিয়ে এ হাসপাতাল বানিয়েছেন তিনি। এখানে কম করে হলেও ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ মোস্তফার। এ ছাড়া গাজীপুরে তাঁর একটি বাগানবাড়ির তথ্য পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে জানতে মোস্তফা কামালের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
অঢেল সম্পদের মালিক ফখরুল
অঢেল সম্পত্তির মালিক ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম। ঢাকা উদ্যানের ‘ডি’ ব্লকের ৩ নম্বর সড়কের ২৮ নম্বর হোল্ডিংয়ের ১০ তলা আলিশানসহ রয়েছে একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট। সরেজমিনে ৩১ মে দুপুরে ইংরেজিতে লেখা ‘মা ভিলায়’ গিয়ে কথা হয় স্থানীয়দের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাড়িটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। এখন লোকজনের বসবাস শুরু হয়নি, ‘টু-লেট’ লাগানো। ফ্ল্যাট ভাড়ার কথা বলে জানতে চাইলে বাড়িটির তত্ত্বাবধায়ক বলেন, প্রতি তলায় দুটি করে ফ্ল্যাট, ১০ তলায় একটি ইউনিট, ফখরুল থাকবেন। বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট ভাড়া হলেও ভাড়াটিয়ারা এখনও ওঠেননি।
ঢাকা উদ্যানের ‘সি’ ব্লকের ২ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর হোল্ডিংয়ের নির্মাণাধীন ১০ তলা বাড়িও ফখরুলের বলে জানা গেছে। তবে ফখরুলের দাবি, বাড়িটি তাঁর ভাই ফিরোজের। ঢাকা উদ্যানের পাশে নবীনগর হাউজিংয়ের ১ নম্বর রোডে একটি প্লটের মালিক ফখরুল। সেখানে টিনশেডের ঘর ভাড়া দেওয়া। বর্তমানে মোহাম্মদপুর লালমাটিয়ার ‘সি’ ব্লকের ২/৮ নম্বর হোল্ডিংয়ের আটতলা ভবনে বাস করছেন ফখরুল। ৩১ মে বিকেলে সেখানে গিয়ে কথা হয় নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে। তিনি জানান, নিজের ৫/এ নম্বর ফ্ল্যাটে ফখরুল স্যার পরিবার নিয়ে থাকেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা উদ্যানের ডি ব্লকের ১০ তলা বাড়িটি আমরা চার ভাইবোন মিলে বানিয়েছি। নিজেদের জন্য কিছু ফ্ল্যাট রেখে বাকিগুলো বিক্রি করব। নবীনগর হাউজিংয়ের প্লট ও লালমাটিয়ার ফ্ল্যাটটিও স্ত্রীর নামে।’