লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ ও খোলা তেল ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে ৪ দিন পরও বাজারে এই দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি মিলছে না। পাশাপাশি পাম তেলও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে ফের কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে আদা, জিরা ও দারুচিনির দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
১১ জুন সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৯ টাকা। পাশাপাশি প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৭ ও পাম তেলের দাম ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৯-২০০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৬-১৮০ টাকা ও পাম তেল প্রতি লিটার ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৪, ১১ ও ৮ টাকা বেশি।
নয়াবাজারের মুদি বিক্রেতা মো. তুহিন বলেন, কোম্পানি থেকে নতুন দামের তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। আগের বাড়তি দরের তেল বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। মিল থেকে সরকার নির্ধারিত দামে তেল সরবরাহ করতে মনে হচ্ছে দেরি হবে। কারণ তারা সব সময় সুযোগ খোঁজে। অতি মুনাফা করে বাজারে পণ্য সরবরাহ করে। আর কয়েকদিন পর ঈদ। যে কারণে তারা মিল থেকে নতুন দামে তেল সরবরাহ করছে না।
অন্যদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার পর থেকে রাজধানীর খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ফের কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহেও ৭৫ টাকা ছিল। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতি কেজি আমদানি করা আদা ৩২০ টাকায় বিক্রি হয়। যা ৭ দিন আগেও ৩০০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি জিরা ৮৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ৮৫০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ টাকা। যা ৫২০ টাকা ছিল।
কাওরান বাজারে পণ্য কিনতে আসা মো. জামিলুর রহমান বলেন, ‘পণ্যের দাম নিয়ে আমরা হতাশায় আছি। প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ে। সরকার কমালেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। পাশাপাশি কুরবানির ঈদ ঘিরে মসলা পণ্যের দাম বাড়তি। বাজারে তদারকি সংস্থাগুলোর কোনো ভূমিকা নেই।’