সিলেট অঞ্চলে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরের যাদুকাটা, চলতি নদীসহ সব নদীর পানি কয়েক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যুরো ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
সিলেট : বৃহস্পতিবার তার দেওয়া এক পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ এই আশঙ্কার কথা জানান। তিনি উল্লেখ করেছেন, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলা এবং মেঘালয় পর্বতের সীমান্তবর্তী স্থানে (চেরাপুঞ্জি নামক স্থানে) ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪ জুন (বুধবার) দুপুর পর্যন্ত। এরপর মধ্যরাতের পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আবারও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
দিন শেষে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী স্থানের নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল নামা শুরু হওয়ার প্রবল আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত ১০ দিনে সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর ওপর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নির্দেশ করছে আবহাওয়ার সব পূর্বাভাস মডেল। শেষে তিনি উল্লেখ করেছেন, উপরের পূর্বাভাস সঠিক হলে সিলেটে একটি মাঝারি মানের বন্যার প্রবল আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে ১৬ জুন থেকে ২৫ জুনের মধ্যে।
সুনামগঞ্জ : বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ঘোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কয়েক জায়গায় নদীর তীর ডুবে গেছে। ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আগামী কয়েকদিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।