ভারত মহাসাগরে চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এশিয়াজুড়ে চীন তার প্রভাব বা পদচিহ্ন বিস্তৃত করছে। এ বিষয়টিও তাদের আলোচনায় উঠে আসে। বুধবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ডেলিগেশন পর্যায়ে এই বৈঠক হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইকোনমিক
টাইমস। আলোচনার এজেন্ডায় উঠে আসে ভারতের প্রতিবেশী ইস্যু। এমন দুটি প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের জাতীয় নির্বাচন যথাক্রমে আগামী বছরের শুরুতে এবং এ বছরের শেষের দিকে। এক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি হলো- তার প্রতিবেশীদের বিষয়ে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে না, যা ভারতের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। পাকিস্তান ছাড়াও মিয়ানমারে উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে চীন। তারা অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তুলছে সেখানে।
ফলে সামনের বছরগুলোতে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি দেখাতে সক্ষম হবে বেইজিং।
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মনোনিবেশ করা হয় এশিয়ায় এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ভূমিকার প্রতি। এটা সবাই জানেন যে, এশিয়াজুড়ে চীন তার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে। আলোচনায় তারা এদিকে ফোকাস করেছেন। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ে বিবেচ্য আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নিয়েও আলোচনা হয়। ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস (আইসিইটি)-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার একদিন পরেই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইসিইটি’তে গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক সমন্বয়ক কুর্ট ক্যাম্পবেলও। দক্ষিণ চীন সাগরীয় অঞ্চলে চীনের মালিকানা দাবি, প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারের সব রকম পরিকল্পনা আছে চীনের। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াও হিমালয়ের পাদদেশের দেশগুলোতে তারা তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদি যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন, তাই তার আগেই ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজি নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের গতি বাড়ানোর জন্য দু’দিনের সফরে ভারত আসেন জ্যাক সুলিভান। এর প্রথম দফা সংলাপ ৩০শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ওয়াশিংটন ডিসিতে। মঙ্গলবারের আলোচনায় আইসিইটি’র অধীনে যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। তারা অংশীদারদের প্রযুক্তি খাতে অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর ফলে সহযোগিতার ভিত্তিতে উচ্চ প্রযুক্তির পণ্যের উদ্ভাবন ও উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে।