বৃষ্টি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে গত কয়েক দিন কম ছিল গরমের তীব্রতা। বিদ্যুতের ভোগান্তিও তেমন একটা ছিল না। গত মঙ্গলবার তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ফের শুরু হয় লোডশেডিং। তবে রাজধানীতে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। লোডশেডিং হচ্ছে মূলত গ্রামে। সিটি নির্বাচনের কারণে খুলনা নগরীতে লোডশেডিং ছিলই না বলা চলে। সোমবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর গত দু’দিন থেকে আবার বিদ্যুৎ ভোগাচ্ছে খুলনাবাসীকে।
একদিকে তাপদাহ, অন্যদিকে জ্বালানি সংকট। এতে জুনের শুরু থেকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মুখে পড়ে দেশ। ডলার সংকটে গ্যাস, কয়লা এবং জ্বালানি তেল আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে সক্ষমতা থাকার পরও চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়নি। বন্ধ রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা। গরমের কারণে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট পেরিয়ে যায়। বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছিল গড়ে ১২ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট।
এর মধ্যে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে। বিদ্যুতের চাহিদা কমায় লোডশেডিংও কমে। গত মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নামমাত্র লোডশেডিং ছিল। এরপর তা বাড়তে থাকে। বুধবার দিনভর দেড় থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল দেশজুড়ে। গতকাল বিকেল ৪টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট, লোডশেডিং হয়েছে ১ হাজার ৯৭১ মেগাওয়াট। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাজশাহীতেই।
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামনের দিনগুলোতে আবার লোডশেডিং বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।