তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে রেইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের কাফরুল দক্ষিণ থানা আয়োজিত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান পক্ষ থেকে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ফ্রিজ, লাপটপ ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।থানা আমীর আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুসয়াব মুহাইমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য সালাহ উদ্দীন শাহীন, জামায়াত নেতা এনমুল হক, এখলাস উদ্দীন ও জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রমূখ।
Dr. Rezaul Karim বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা জাতির জন্য মোটেই বোঝা মনে করা হয়। কারণ, মানুষ শুধু ক্ষুধার্ত পেট নিয়েই জন্মায় না বরং প্রত্যেকের সাথে বলিষ্ঠ দু’টি হাতও থাকে। তাই প্রত্যেক নাগরিকের হাতগুলোকে কর্মের হাতিয়ারে পরিণত করলে পারলেই দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। কিন্তু রাষ্ট্রাচারে অহেতুক অপচয় করা হলেও দেশের বেকার জনগোষ্ঠীকে কর্মমূখী ও আত্মনির্ভরশীল হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারের উল্লেখ্যযোগ্য কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের প্রতিটি মানুষকে আত্মনির্ভরশীল করার জন্য সীমিত সামর্থ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সেধারাবাহিকতায় আজ আমরা কারাবন্দী আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলার জন্য ফ্রিজ, ল্যাপটপ ও সেলাই মেশিন বিতরণ করছি। আমরা আশা করি এটি সীমিত পরিসরে হলেও কর্মহীনদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। প্রধান অতিথি অত্র এলাকার উন্নয়নে মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন এবং ইতোমধ্যেই সাধারণ মনুষের মনের মনিকোটায় স্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু সরকার তাকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রেখে তার যোগ্যতর খেদমত থেকে নগরবাসীকে বঞ্চিত করছে। মহানগরী সেক্রেটারি সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে অবদান জন্য সরকার, সমাজের বিত্তমান মানুষ সহ সকল শ্রেণির ও পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাই হচ্ছে গণমানুষের কল্যাণ। আর ইসলামের সে আদর্শ অনুসরণেই জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী, আদর্শিক ও সাংবিধানিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জামায়াতে ইসলামী গণমানুষের মুক্তি, সমাজ উন্নয়ন ও আর্তমানবতার কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে ও দুর্যোগকালীন মহুর্তে জামায়াত জনগণের পাশে থেকে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মূলত, জামায়াতে ইসলামী কুরআনের সুন্নাহের আদর্শের ভিত্তিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আর দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারলেই রাষ্ট্রই নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ বিনির্মাণে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, সরকার জামায়াতকে গণবিচ্ছিন্ন করতে গিয়েই নিজেরাই এখন গোটাবিশ্ব থেকেই বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে। স্বল্প সময়ের নোটিশে গত ১০ জুনের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সম্মেলনে প্রমাণ হয়েছে জামায়াতে ইসলামী বানের পানিতে ভেসে আশা কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয় বরং এদেশে ইসলামের শেকড় অনেক গভীরে। কিন্তু জুলুমবাজ সরকার দীর্ঘদিন জামায়াতকে তাদের রাজনৈতিক রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। কিন্তু তা সরকারের জন্যই এখন বুমেরাং হয়েছে। কারণ, সরকারের উপর্যুপরি জুলুম-নির্যাতনের কারণেই জামায়াতে জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তিনি সরকারকে অপরাজনীতি ও ভোটচুরির ষড়যন্ত্র বন্ধ করে অবিলম্ব পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সহ #শীর্ষনেতৃবৃন্দের_অবিলম্বে #নিঃশর্ত_মুক্তি দেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।