আমদানি শুরু হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পেঁয়াজের বাজার। উল্টো প্রথম তিন-চার দিন কমে এখন আবার কিছুটা বাড়ছে। খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। দুই দিন আগে এ দর ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সেই হিসাবে পাঁচ টাকা বেড়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজও এসেছে বাজারে। এ পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, তেজকুনিপাড়া ও মগবাজারে এই দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, আগে বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ এখনও বিক্রি শেষ হয়নি। তাছাড়া আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর পাইকারি বাজারে দুই দিন দাম কমেছিল। এরপর নতুন করে দাম কমেনি। তাছাড়া এখনও পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এ কারণে দাম কমছে ধীরে।
এ বছর দেশে প্রায় ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। কৃষকরা যাতে মৌসুমে পেঁয়াজের ভালো ন্যায্য দাম পান সেজন্য সাময়িক সময়ের জন্য আমদানি বন্ধ রেখেছিল কৃষি মন্ত্রণালয়। আমদানি বন্ধের এ সুযোগ নিয়েছিল মধ্যস্বত্বভোগীরা। এক-দেড় মাসের মাথায় প্রায় আড়াই গুণ বেড়েছিল দাম। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে থাকায় গত ৪ জুন আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ৫ জুন থেকে শুরু হয় আমদানি। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৩ হাজার টন আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশে ঢুকেছে ২১ হাজার টন পেঁয়াজ।
আমদানি করা এসব পেঁয়াজ রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। দেশি পেঁয়াজেরও পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে বাজারে। অনুমতি দেওয়ার পর দুই-তিন দিন দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছিল। এখন আবার খুচরা ব্যবসায়ীদের কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়তি নিতে দেখা গেছে। অর্থাৎ বাজারে দুই দিন আগে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। এ ছাড়া ভারত থেকে গড়ে ২০ টাকায় আনা পেঁয়াজের কেজিও বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, বাজারে সেই হারে ভারতীয় পেঁয়াজ ঢোকেনি। এখনও বেশিরভাগ দেশি পেঁয়াজ। এ কারণে দাম কমছে ধীরে ধীরে।
তেজকুনিপাড়া এলাকায় মায়ের দোয়া স্টোরের বিক্রয়কর্মী মো. হেলাল জানান, এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনেছেন তিনি। তখন বেশি দামে পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হয়েছে। সেই পেঁয়াজ এখনও বিক্রি শেষ হয়নি। এখন দাম কমার কারণে তাঁকে কিছু ছাড় দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।