আজ দুইটি বিষয় নিয়ে লিখবো। একটি হলো ভয়াবহ লোডশেডিং, যেটি বিগত ৪০ বছরেও দেখা যায়নি। আরেকটি হলো সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেলকিবাজি। প্রথমে লোডশেডিং। তার আগে একটি কথা বলতে চাই। সেটি হলো, আজ লোডশেডিং সম্পর্কে লিখবো অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায়। সোজা কথায় আওয়াম জনতা যে ভাষায় বোঝেন সেই ভাষায় লিখবো। আমার কাছে লোডশেডিংয়ের আদ্যপান্ত অর্থাৎ আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা কত, বর্তমান উৎপাদন কত, সংস্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা, সেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে যে ইনপুট দিতে হয় সেই গ্যাস, তেল, কয়লা, এলএনজি ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান রয়েছে। সেই সব পরিসংখ্যান দিয়ে লেখাটি ভারি করবো না। কিন্তু আমি যা বলবো সেগুলো ঐসব তথ্য ও পরিসংখ্যানকে ভিত্তি করেই।
প্রথমেই আমি বলেছি যে বিগত ৪০ বছরেও এমন ভয়াবহ লোডশেডিং দেখা যায়নি। কথাটি আমার নয়। কথাটি বলেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন। জসিম উদ্দিনের কথা তার ভাষাতেই উদ্ধৃত করবো। তার আগে সারা দেশে বিদ্যুৎ না থাকায় জনগণের মধ্যে যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার একটি নমুনা দিচ্ছি। আমার বাড়ির কাজের মেয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছে। কিশোরগঞ্জের একেবারে অজপাড়াগাঁয়ে তার পিতা মাতা থাকেন। গত বুধবার তার মা তাকে ফোন করেছিল। ফোন করে তাকে জানালো যে কিশোরগঞ্জের গ্রামেগঞ্জে নাকি বিদ্যুতের দাবিতে মিছিল হচ্ছে। মিছিলের একটি শ্লোগান হচ্ছে, “শেখ হাসিনার উন্নতি/ রাতের বেলায় মোমবাতি”। প্রিয় পাঠক, এটি শুধু কিশোরগঞ্জের অবস্থা নয়। এটি সারা দেশের শহর ও গ্রাম নির্বিশেষে সব জায়গার অবস্থা। আমার বড় ভাই বগুড়া থাকেন। তার বাড়িটি ৩ তলা। দুইটি ইউনিট। যে ইউনিটে ভাড়াটিয়ারা থাকেন তারা গরমে অস্থির। একদিকে তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে দিনের মধ্যে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা কারেন্ট থাকে না। রাতের বেলা খাওয়া দাওয়া করে তার ভাড়াটিয়ারা বৌ বাচ্চাসহ ছাদে গিয়ে ঘুমান। সূর্য ওঠার আগে ছাদ থেকে নেমে ঘরে যান। ছাদে রাতে থেকে অন্তত বাতাসটা তো পান। প্রিয় পাঠক, এগুলো কোনো বানানো গল্প নয়। আপনাদের সকলেরই দেশ গাঁয়ে আত্মীয় স্বজন আছে। এখন মোবাইলের যুগ। একবার ফোন করে দেখুন, আপনার গ্রামের আত্মীয় বিদ্যুতের অভাবে কেমন হাঁসফাঁস করছেন।
বলছিলাম ৪০ বছরে এমন সংকট আসেনি। গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার ‘দৈনিক মানবজমিনের’ অনলাইন সংস্করণের প্রধান সংবাদের শিরোনাম, “দেশের অর্থনীতিতে ৪০ বছরেও এমন সংকট দেখিনি”। গ্যাস, জ্বালানি ও বিদ্যুতের লোডশেডিং সমস্যা উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে গত ৪০ বছরেও এমন সংকট দেখিনি। এমনকি করোনার মধ্যেও এমন পরিস্থিতির শিকার কেউ হয়নি। গত বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট নিয়ে কথা বলেন মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘১৬ টাকার গ্যাস ২৫ টাকা করার প্রস্তাব আমরাই দিয়েছিলাম। আমাদের শর্ত ছিল, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দিতে হবে। ১৬ টাকার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা করা হলো, কিন্তু এখন আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছি না। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে অন্ধকার বেশি ব্যয়বহুল। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর চালাচ্ছি, প্রতি কিলোওয়াটের দাম পড়ছে ২৫ টাকা।
তিনি আরো বলেন, অর্থনীতি টেকসই ও সেই সঙ্গে শিল্পোৎপাদন ধরে রাখতে হলে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো বর্তমানে এক ডলারের বিপরীতে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। লুটের মালের মতো যেভাবে পারছে, তারা (ব্যাংক) সেভাবে ডলারের দাম নিচ্ছে।
প্রিয় পাঠক, এফবিসিসিআইয়ের মতো ব্যবায়ীদের প্রতিষ্ঠান বিগত ১৫ বছর ধরে সরকারপন্থি ভূমিকা পালন করে আসছে। সালমান এফ রহমানের মতো মানুষ এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। আজ সেই আওয়ামীপন্থি ব্যবসায়ী সংগঠনও এমন কথা বলছে। কেন এমন হলো? তার আগে আসুন দেখি পাশের বাড়ি কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কি।
॥ দুই ॥
কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ এখন বাংলাদেশীদের কাছে ডালভাত। ভারতীয় হাইকমিশন ভিসাও দিচ্ছে উদারভাবে। এখন চাইলে বাংলাদেশের শ্যামলী বা অন্য কোনো পরিবহনে চাপবেন, আর রাত শেষে আপনাকে পশ্চিমবঙ্গে নামিয়ে দেবে। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন সেই ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ছিলো কংগ্রেস। তারপর আসে প্রথমে জ্যোতি বসু এবং পরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বামফ্রন্ট। বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গে ৩২ বছর রাজত্ব করেছে। বামফ্রন্টের ৩২ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জী।
সত্তর-এর দশকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি অফিসে অফিসে চলতো ঘেরাও। আর সন্ধ্যা হলেই হঠাৎ আলো নিভে যেত, পাখা বন্ধ হয়ে যেত, বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকতো কলকাতা আর পশ্চিমবঙ্গ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুঃসহ গরমে শহর থেকে জেলা পর্যন্ত ছিল অতিষ্ঠ। আলোবিহীন অবস্থায় থাকতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নব্বইয়ের দশকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও লোডশেডিং আবার ফিরে আসে দু’হাজার তিন সালে। বলা হয়ে থাকে বাম সরকারের দু’হাজার এগারোয় পতনের অন্যতম একটি কারণ ছিল এই লোডশেডিং। দু’ থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকাটা রেওয়াজ হয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন হাইড্রো পাওয়ার স্টেশনগুলোকে মমতা ব্যানার্জী সচল করে তোলেন এবং পাওয়ার জেনারেশনে মনোযোগী হন। খবরে প্রকাশ, রাজ্যে এখন বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ব্যতীত জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ডবলু বি এস ই সি ডি এল কে এখন আর বিদ্যুতের জন্য ভিন রাজ্যের পাওয়ার গ্রিডের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হয় না। বরং অন্য রাজ্য তাকিয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। কলকাতায় বিদ্যুতের চাহিদা সব থেকে বেশি।
মমতা ব্যানার্জী প্রাইভেট সংস্থা ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই করপোরেশন বা সিইএসসিকে দায়িত্ব দিয়ে দেন কলকাতার বিদ্যুৎ বণ্টন ও রক্ষণাবেক্ষণের। মনোপলি এই ব্যবসায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কার নেতৃত্বে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চলেছে এই সংস্থা। সিইএসসি’র এক উচ্চপদস্থ কর্তার কথায়-পাওয়ার জেনারেশন এবং উন্নত মানের রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের কোম্পানির ব্রত। এই দুয়ের যোগের নিটফল- এই প্রচ- দাবদাহতেও মানুষ নিশ্চিন্ত- আর যাই হোক, লোডশেডিং আর হবে না।
লক্ষ্য করুন, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের ২৯ টি প্রদেশের একটি। আর বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। ভারতের অন্যতম প্রদেশ হওয়ায় অন্যান্য প্রদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেরও সব ব্যাপারে একচেটিয়া ক্ষমতা নাই। কোনো কোনো ব্যাপারে তাদেরকে কেন্দ্রের ওপর অর্থাৎ দিল্লীর ওপর নির্ভর করতে হয়। ফেডারেল ব্যবস্থায় এটি করতেই হয়। তারপরেও একটি প্রদেশ হয়ে যদি পশ্চিমবঙ্গের শহর এবং গ্রাম আলো ঝলমল হয় তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া সত্ত্বেও ৫২ বছর পর কেন আমাদের কোটি কোটি মানুষ অসহ্য গরমে বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে থাকবেন? বিদ্যুৎ নাই, কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইনপুট অর্থাৎ কয়লা, গ্যাস এবং তেল নাই। কেন কয়লা, গ্যাস এবং তেল নাই? কারণ ওগুলো কিনতে হলে আমদানি করতে হবে এবং সেই আমদানির বিল ডলারে পরিশোধ করতে হবে। পরিশোধ করার মতো ডলার নাকি সরকারের হাতে নাই। পেট্রো বাংলা বলুন আর পিডিবি বলুন, সব জায়গায় বিল বাকি পড়ে আছে। ডলার কেন নাই? এতদিন তো শুনলাম, আমাদের রাষ্ট্রীয় ভান্ডারে নাকি ৪৮ বিলিয়ন ডলার মজুদ আছে। আইএমএফ এসে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালো যে তোমরা বিদেশী মুদ্রা মজুদের যে অঙ্ক কষেছ সেই অঙ্কে ভুল আছে। এখন দেখা যাচ্ছে, আমাদের বিদেশী মুদ্রার মজুদ মাত্র ২৯ বিলিয়ন ডলার।
এতদিন তো বিএনপির বিরুদ্ধে বলা হলো, ওরা শুধু খাম্বা বসিয়েছে। আর বাকি টাকা সব মেরে খেয়েছে। কত টাকা মেরে খেয়েছে সেই অঙ্কটি এই সরকার কোনো দিন বলে না। এই সরকার তো ১৫ বছর ধরে এক টানা ক্ষমতায় আছে। এই ১৫ বছরে কোথাও কোনো গোলমাল বা রাজনৈতিক অরাজকতা দেখা যায়নি। তাহলে ১৫ বছর পর বিদ্যুতের অভাবে মানুষ অন্ধকারে থাকবে কেন? কারণটি সকলেই জানেন। বাংলাদেশের প্রধান তিনটি সমস্যা হলো শুধু দুর্নীতি নয়, হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট। ব্যাংকে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা খেলাপী ঋণ। আর বিগত ১৫ বছরে ৮ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার। সুতরাং আপনার ভান্ডারে যে টাকা আছে প্রকৃত মজুদ তো তারচেয়ে অনেক কম। সুতরাং আজ আপনার আমদানির বিল পরিশোধ করতে পারেন না।
॥ তিন ॥
এবার রাজনীতির কথা বলবো। আসলে রাজনীতির কথা কি বলবো? সরকারের বা আওয়ামী লীগের এক জনের সাথে আরেক জনের কথার কোনো মিল নাই। গত ৬ জুন মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সিনিয়র নেতা এবং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, বিএনপির জন্য আমাদের (সরকারের) দরজা খোলা। যখন ইচ্ছা আসুন। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করি। প্রয়োজন হলে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আমরা আপনাদের সাথে সংলাপে বসবো। ২০১৩ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব তারানকার মধ্যস্থতায় এই রকম একটি সংলাপ হয়েছিল। এবারও সেটি হতে পারে। পরদিন অর্থাৎ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মতো শক্তিধর মন্ত্রীও জোর দিয়ে বলেন যে সংকট সমাধানের জন্য সংলাপের কোনো বিকল্প নাই।
সেই একই দিন অর্থাৎ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন যে সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বা সরকার কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। বর্তমানের সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন হবে। তিনি আরো বলেন যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি এই কথা বলছেন। ঐদিকে সরকারের মুখপাত্র বলে বিবেচিত তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন যে আমু সাহেব আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সিনিয়র নেতা। তিনি যা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে। তবে সেটি সরকারের কোনো অবস্থান নয়।
বৃহস্পতিবার ইংরেজি ডেইলি স্টারের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আমুর খবরটি পড়ার পর প্রধানমন্ত্রী নাকি আমুর সাথে কথা বলেন এবং বলেন যে সংলাপের ব্যাপারে সরকার তো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। (ডেইলি স্টার, ৮ জুন, প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান সংবাদ)। তারপরেই আমু সকলকে বিস্মিত করে আমূল বোল পাল্টে ফেলেন। তিনি বলেন যে সংলাপে বিএনপিকে আহ্বান জানিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। পত্রিকা ওয়ালারা নাকি তার বক্তব্য সঠিকভাবে ছাপায়নি। আসলে পত্রিকাগুলো যাই লিখুক না কেন, মানুষ তো ঐ দিনই সন্ধ্যার পর ভিডিও ফুটেজে দেখলেন যে আমু সাহেব উচ্চ কন্ঠে সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছেন এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতার কথাও বলেছেন। তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই বা সংলাপের কথা বললেন কিভাবে?
আওয়ামী লীগের এমন শীর্ষ পর্যায় থেকে এই রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রস্তাব দিয়ে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই যদি স্বয়ং প্রস্তাবক উল্টে যান তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে কার কথা? এই বিষয়টি নিয়ে আর অতিরিক্ত কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
Email: asifarsalan15@gmail.com