ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে শপথের কর্মীদেরকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে ময়দানে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
তিনি আজ সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পূর্ব থানা আয়োজিত সদস্য ( রুকন) শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির আলোচনায় এসব কথা বলেন। থানা আমীর মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও নায়েবে আমীর সুলতান আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। শিক্ষাবৈঠকে আলোচনা রাখেন, উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, উত্তরা পশ্চিম জোনের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও থানা সেক্রেটারী হামিদুল হক প্রমূখ।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের পথ কখনো ফুল বিছানো ছিল না; এখনো নয়। তাই বাতিল ও কুফরী শক্তির মোকাবেলায় দ্বীনকে আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নিজেদেরকে আত্মগঠনে মনোনিবেশ করতে হবে। নতুন শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের যোগ্যতা বাড়াতে হবে। ব্যাপকভিত্তিক কুরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়নের মাধ্যমে নিজেদেরকে যোগ্যতর কর্মী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য ইসলামের দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছানোর কোন বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষের যেকোন সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। আর এভাবেই ইসলামের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোন পরাজয় নেই। কারণ, আল্লাহ আমাদের ওপর দ্বীন প্রতিষ্ঠা নয় বরং সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কোরবানীর পেশের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালানো ফরজ করে দিয়েছেন। মূলত, দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোই আমাদের কাজ। তাই এক্ষেত্রে ধৈর্য হারানোর কোন কোন সুযোগ নেই বরং প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ, ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে সকলকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত ও লাগামহীন লুটপাটের কারণে দেশে তীব্র অর্থসঙ্কট দেখা দিয়েছে। কয়লা আমদানীর অভাবে ইতোমধ্যেই পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। নানা অজুহাতে বিদ্যুতের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি ও জনগণের কাছে কুঠিয়ালদের মত বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হলেও সরকারের লাগামহীন লুটপাটের কারণেই আমদানীকৃত কয়লার বকেয়া পরিশোধ সম্ভব হয় নি। ফলে বিদ্যুৎ সেক্টরে বড় ধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত, এ সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই ব্যর্থ ও লুটেরা সরকারকে জনগণ আর এক মূহুর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি সরকারকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে ও কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান।