রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অনুভূত হচ্ছে অসহনীয় গরম। এই গরম এখনো প্রায় ৫ দিন সহ্য করতে হবে মানুষকে। তবে দেশের কিছু এলাকায় দুই-একদিনের মধ্যেই গরমের তীব্রতা কমবে। সেই সঙ্গে সম্ভাবনা রয়েছে বৃষ্টি হওয়ারও। মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানান, দেশের ৬০টি জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সাত বিভাগের সবক’টি জেলা এই তাপপ্রবাহের আওতায় রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেটের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, রাজশাহী ও পাবনার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবানসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০ তারিখ পর্যন্ত চলতে পারে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে সারা দেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। তবে, দুই-একদিনের মধ্যে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপপ্রবাহ বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই সময়ে সূর্যকিরণ সরাসরি আমাদের ভূ-খণ্ডের উপর পড়ে। তাই পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির পরিস্থিতি হয়েছে। এ ছাড়া আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ রয়েছে। ফলে এই ২ পথেই মৌসুমি বায়ু বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আরব সাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তবে সেটি আমাদের দিকে আসবে না। বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ ও আরব সাগরের নিম্নচাপ গুরুত্বহীন হয়ে না পড়া পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু আসার সম্ভাবনা নেই।