তীব্র লোডশেডিংয়ে কাবু পুরো দেশ। গ্রাম-গঞ্জ, নগর-শহর সর্বত্র ঘণ্টার পর ঘণ্টা হচ্ছে লোডশেডিং। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি গ্রামে। রাতে-দিনে সমানতালে হচ্ছে লোডশেডিং। অনেক এলাকায় দিনের অর্ধেক বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাতে দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। তীব্র গরমের কারণে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। মানবজমিন-এর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী রাজধানী ও বড় শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। কোথাও কোথাও টানা কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।
স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না: বিজয়নগরের বিষ্ণুপর। যেখানে ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ মিলে ১০/১২ ঘণ্টা। গ্রামের জকির মিয়া জানান, ঘণ্টা নয়, বিদ্যুৎ দেয় ৪০ মিনিট, লোডশেডিং হয় ১ ঘণ্টা। এভাবেই দিনরাতে ১০/১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাই। মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান জানান, গত ক’মাস ধরেই এ অবস্থা। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের যন্ত্রণাও বাড়ে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ভরপুর আশুগঞ্জ। সেখানে লোডশেডিং হচ্ছে ঘন ঘন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও চরম ভোগান্তির। শহরের মেড্ডার রিমন মিয়া জানান, রাতে খুব খারাপ অবস্থা। গত সোমবার রাত ১২টায় বিদ্যুৎ গিয়ে আসে ১টায়। এরপর আবার ২টায় বিদ্যুৎ চলে গিয়ে আর সারারাত আসেনি। রাতে ঘুমাতে পারি না আমরা। শহরের সব এলাকাতেই এ অবস্থা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার জানান, সোমবার রাতে তার আওতাধীন এলাকায় চাহিদা ছিল ২৫ মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিল ১৫ মেগাওয়াট। দিনে ২২ মেগাওয়াটের মধ্যে সরবরাহ ছিল ১৩ মেগাওয়াট।
নারায়ণগঞ্জে গভীর রাতেও লোডশেডিং: তীব্র তাপদাহ আর দিনে-রাতে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে-বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই। বরং দিন দিন লোডশেডিং বাড়ছে। মিল কারখানার উৎপাদন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সবচেয়ে অসুবিধায় রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস।
এ ছাড়া দিন শেষে রাতেও লোডশেডিং হওয়ায় মানুষ ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছেন না। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। মাত্রাতিরিক্ত গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা বাড়িতে দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন করতে বেগ পেতে হচ্ছে। আর লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে।
বন্দরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, লোডশেডিং অনেক বেড়ে গেছে। আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে দুই ঘণ্টা থাকে না। নামাজের সময়টুকুতেও বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। রাতে বিদ্যুৎ গেলে সকালে আসে। এতে করে ঘুমটাও ঠিকমতো হচ্ছে না।
তামিম হাসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সন্ধ্যার পর পরই কারেন্ট চলে যায়। এরপর রাত ৯টা বা ১০টার দিকে আসে। ঘণ্টাখানেক থাকার পর আবারো চলে যায়। লেখাপড়া করতেই পারছি না।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (সদর দপ্তর) প্রকৌশলী মো. মাশফিকুল হাসান বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই দফায় দফায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
গাজীপুরে লোডশেডিং চরমে: গাজীপুরে বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই কমপক্ষে ৩০ ভাগ থেকে শুরু করে প্রায় ৫০ ভাগ পর্যন্ত বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে পড়তে হচ্ছে। এতে করে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ও স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ ও ডেসকো ৫টি ভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। গাজীপুর সদর টঙ্গীসহ পুরো জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা কমপক্ষে ১১শত মেগাওয়াড। সেখানে প্রতিদিনই শতকরা ৩০ ভাগ থেকে শুরু করে প্রায় ৫০ ভাগ পর্যন্ত লোডশেডিং থাকে। এতে করে এলাকাভেদে দিনে আট ঘণ্টা থেকে শুরু করে ১২ ঘণ্টা, এমনকি চৌদ্দ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ে পড়ে প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে কাবু হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ব্যবসা-বাণিজ্যেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে।
জেলা শহরের দক্ষিণ ছায়াবিথী, উত্তর ছায়াবীথি, রথখোলা, জয়দেবপুর বাজারসহ আশপাশের এলাকায় মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা পল্লী বিদ্যুৎ।
নোয়াখালীতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং: নোয়াখালীতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে জনগণের চরম দুর্ভোগ চলছে। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় দিশাহারা সাধারণ মানুষ। অথচ এর মধ্যেই ‘ভিআইপি লাইন’ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিয়ে চলছে নোয়াখালী শিল্প ও বাণিজ্যমেলা, সুপার মার্কেট ও সরকারি আবাসিক এলাকা।
নোয়াখালী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা যায়, চাহিদা ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ মেগাওয়াট। এজন্য ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি সামাল দিতে লোডশেডিং বেড়েছে।
যশোরে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন: তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে যশোরের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৬-৭ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং এর পরিমাণ আরও বেশি। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিং বেশি হওয়ায় কষ্ট পাচ্ছে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। সেইসঙ্গে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানায়। বিশেষ করে যশোরের শিল্পনগরী বিসিক, নওয়াপাড়া ও বেনাপোলকেন্দ্রিক ছোট বড় ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যশোর আবহাওয়া বিভাগের তথ্যমতে, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে অব্যাহত লোডশেডিং। যশোর শহরে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৬২ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে রাতদিন মিলে গড়ে ২৭ থেকে ২৮ মেগাওয়াট। অপরদিকে জেলার বাকি ৭ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২৩২ মেগাওয়াট। সেখানে রাতদিন মিলে ঘাটতি থাকছে ১০০-১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
এতে জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিং বেশি হওয়ায় কষ্ট পাচ্ছে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ। সেইসঙ্গে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানায়।
এ বিষয়ে ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী দীন মোহাম্মদ মোহিম বলেন, লোডশেডিং করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। চাহিদার অর্ধেকেরও কম সরবরাহ দিয়ে কীভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখবো বলেন। তাছাড়া যশোর সেনানিবাস, যশোর বিমানবাহিনীর মতিউর রহমান ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি ভিআইপি ফিডার রয়েছে। এসব কিছু মেন্টেন্যান্স করতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তিতে ফেলতে হচ্ছে। পিডিবি’র তুলনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অবস্থা আরও খারাপ।
বরিশালের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসহনীয় অবস্থা: বরিশালের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লোডশেডিং নিয়ে। অসহ্য গরমের মাঝে লোডশেডিংয়ে অবস্থা শোচনীয়। শহর এলাকায় লোডশেডিং কিছুটা কম হলেও গ্রাম পর্যায়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলছে লোডশেডিং। বিশেষ করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় হোটেল ব্যবসায়ীরা অসহায় অবস্থায় তাকিয়ে থাকেন, কখন বিদ্যুৎ আসবে সে দিকে। পর্যটক না থাকায় তাদের ব্যবসায়ও নেমেছে অন্ধকার।
বরিশালে চলছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সে কারণে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এখানে লোডশেডিং সহনীয় অবস্থায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরও বিভিন্ন এলাকায় কয়েক ঘণ্টা করে চলে লোডশেডিং। কাউনিয়া এলাকার মজিবর রহমান জানান, সকাল ১০টায়, দুপুর ২টায় আবার রাত ১০টায় লোডশেডিং হচ্ছে। এ সময়গুলোতে মানুষ বেশির ভাগ বাসায় থাকেন। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা অব্দি সন্তানরা স্কুলে থাকেন। বাচ্চারা বিকালে যখন বাড়ি ফেরে তখন একেবারে বিপযস্ত অবস্থা। তার এক ছেলে ৭ম শ্রেণিতে এবং মেয়ে এবার ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। রাতে বিদ্যুৎ যখন চলে যায় তখন বিড়ম্বনার শেষ থাকে না। তিনি জানান, প্রতিদিনই মধ্যরাতেও লোডশেডিং হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি চারবার লোডশেডিং হয়েছে তার এলাকায়।
মেহেরপুরে লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত: অব্যাহত লোডশেডিংয়ের মুখে পড়েছে মেহেরপুরের শিল্পকারখানা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে কারখানায় উৎপাদন এসে ঠেকেছে সিঁকি ভাগে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ছোট ও মাঝারি ধরনের অন্তত শতাধিক শিল্পকারখানা। এসব কারখানার মধ্যে রয়েছে হাসকিং ও ক্যাটল অ্যান্ড ফিশ ফিড মিল্স। সেই সঙ্গে বেকার হয়েছে হাজারও শ্রমিক। জেলার গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের দেলোয়ার হাসকিং অ্যান্ড ফিশ ফিড মিলের মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় মিলের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। মিলে যেসব শ্রমিক ছিল তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা এখন বেকার। একই কথা জানালেন মড়কা বাজারের সাগর চাল কলের মালিক আব্বাছ আলী।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন সংকটে: মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের পশু খাবার ব্যবসায়ী সোলাইমান জানান, গবাদি পশুর খামারিরা ও মৎস্য খামারিরা সঠিক সময়ে খাবার সরবরাহ করতে পারছে না। মিল মালিকরা খাবার উৎপাদন করতে না পারায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের ব্যবসায়ী রুবেল জানান, আমার কাছ থেকে বাকিতে অন্তত ৩০ জন মৎস্য চাষি মাছের খাবার নিয়ে থাকেন। এক সপ্তাহ ধরে মাছ চাষিদের কোনো খাবার সরবরাহ করতে পারিনি। এদিকে বিদ্যুতের এ লোডশেডিংয়ের কারণে গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে অনেকে।
বিপর্যস্ত চিলমারীর জনজীবন: ‘ভালো নেই রে বাবা, বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম সঙ্গে গরমের তীব্রতা এর ওপর থাকে না বিদ্যুৎ। ঘন ঘন লোডশেডিং আর বিদ্যুতের ভেলকিবাজি, এর ওপর মাস গেলেই বিল পরিশোধ না হলে লাইন কাটার হুমকি, হামার গুলেক অতিষ্ঠ করে তুলেছে, হামরা আর পারছি না’-কথাগুলো বলছিলেন আমিনুল ইসলাম। শুধু আমিনুল ইসলাম নয়, হাজারো মানুষ আজ লোডশেড়িং আর বিদ্যুতের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। দিন যাচ্ছে বেড়েই চলছে লোডশেডিং সঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চিলমারী উপজেলাবাসী। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহ মাত্রায় এলাকায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
চিলমারী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চিলমারী অফিস এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮ মেগাওয়াট কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে ২ থেকে ৩ মেগাওয়াট। দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুৎ কম সরবরাহ হওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।