নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে পরিপূর্ণভাবে হরণে রাজধানীজুড়ে পুলিশের গণগ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
আজ বুধবার বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আগামী ১০ জুনের সমাবেশ ঠেকানোর জন্যই রাজধানীতে নতুন করে গণগ্রেফতার শুরু করেছে।
মহানগরীতে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, গত রাত ৯টায় মহাখালী ওয়্যারলেস গেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে এশার নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বনানী থানার সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাফঈ সহ ১০ জন এবং রাত ২টা ৩০ মিনিটে আদাবর থানার কর্মী তারিফ হাসানকে নিজ বাসা থেকে পুলিশ তুলে নেয়। যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও রাষ্ট্রীয় সংবিধানের গুরুতর লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃদ্বয় বলেন, নৈশ্য ভোটের সরকার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য জামায়াতসহ দেশপ্রেমী শক্তিকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সভা-সমাবেশ করা ও রাজপথে যেকোনো কর্মসূচি পালন গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করেছে বাকশালী আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ জুন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী(উত্তর, দক্ষিণ) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাইলে ডিএমপির পক্ষ থেকে ঠুনকো অজুহাতে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। জামায়াত একটি দেশপ্রেমী ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে তা স্থগিত করে ১০ জুন সে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। আবারো কর্মসূচি পালনে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ডিএমপি কমিশনার বরাবর পত্র প্রেরণ করেছে।
তারা বলেন, আওয়ামী বাকশালীরা দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের অবৈধ ক্ষমতা লিপ্সার কারণে দেশ এখন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে। বিষয়টি দেশ ও জাতির জন্য লজ্জাজনক।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মাওলানা আব্দুর রাফঈকে তার কর্মস্থল থেকে তুলে নিয়ে ৫ দিন গুম করে রেখে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা এবং আদালত থেকে জামিন লাভের পর জেল গেইট থেকে পূনরায় গ্রেফতার করা হয়েছিল।