সরকারের জুলুম নির্যাতন, অপশাসন-দুঃশাসন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংসের প্রতিবাদে এবং নির্বাচনকালীন কালীন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে নেমে এসে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করে সরকারের প্রতি অনাস্থা জানানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত সরকারের জুলুম-নির্যাতন, অপশাসন-দুঃশাসন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংসের প্রতিবাদ, নির্বাচনকালীন কালীন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা ও আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৫ জুনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দীন ও মু. আতাউর সরকার প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে মূল্যস্ফীতি এখন সকল সময়ের সীমা অতিক্রম করেছে। রাষ্ট্রের রিজার্ভ পরিস্থিতি এখন বিপজ্জনক পর্যায়ে। প্রয়োজনীয় কয়লা আমদানীর অভাবে পায়রা বিদ্যুৎ আগামীকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে খোদ সরকারিভাবেই জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর ওপর নতুন করে দলন-পীড়ন শুরু করেছে। সে ধারাবাহিকতায় মানবতার ফেরাওয়ালা খ্যাত পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জামায়াতের প্রায় সকল শীর্ষনেতাই এখন জালিমের কারাগারে অন্তরীণ রাখা হয়েছে। তিনি সরকারকে জুলুম-নির্যাতনের পথ পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ সকল শীর্ষনেতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে জনতার নেতার মুক্ত করা হবে-ইনশাআল্লাহ।
Dr. Rezaul Karim বলেন, সরকারের উপর্যুপরি অবৈধ ক্ষমতালিপ্সার কারণে বন্ধুপ্রতীত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য স্বতন্ত্র ভিসানীতি প্রণয়ন করেছে। ফলে বহির্বিশ্বে বর্তমান সরকার ভোট চোর সরকার হিসাবে আখ্যা পেলেও তারা বিষয়টি নিয়ে নানাবিধ টালবাহানা শুরু করেছে। সরকার প্রধান বিষয়টিকে আমলে না নিয়ে দেশ ও জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য একের পর এক বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু এসব করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তিনি সরকারকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় জুলুমবাজ সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।