জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ দিকে গরমের তেজ আরও বাড়ছে। তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নগরজীবন। দিনে বের হলেই গায়ে প্রচণ্ড গরমের আঁচ লাগছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে রোদের তীব্রতা যত বাড়ে, গরমে নগরবাসীকে ততটাই গলদঘর্ম হতে দেখা গেছে।
শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, এমন গরম দেশের সর্বত্র। গরম কমার লক্ষণ নেই তাড়াতাড়ি। শনিবার দেশের ৩২টি জেলায় তাপপ্রবাহ বয়েছে। তাপপ্রবাহ আরও চার থেকে পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, দেশের কোথাও তীব্র এবং কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ আরও চার থেকে পাঁচ দিন চলতে পারে। তবে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দু-এক জায়গায় সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত অন্যত্র বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে; ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে; ৩৭ মিলিমিটার।
এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন গাণিতিক মডেল, আবহাওয়ার অবস্থা, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে এমনটিই জানিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। তবে এখনই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিতে নারাজ দু’দেশের আবহাওয়াবিদরা।
ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ৫ জুন আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির শঙ্কা রয়েছে, যা পরে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার পর তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, সাগরের সি সার্ফেস তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৫ এর ওপরে থাকা ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। বর্তমানে সাগরের সি সার্ফেস তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি পর্যন্ত রয়েছে। ফলে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে ৭-৮ জুন নিম্নচাপ তৈরি হলে বিস্তারিত জানা যাবে।