অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং আমীরে জামায়াতসহ আটক সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে ৫ জুন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি ও সহযোগিতা কামনা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের নিকট ২৮ মে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ থেকে অনলাইনে আবেদন করা হয়। আজ ২৯ মে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে গেলে তাদেরকে ডিএমপি অফিসে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পুলিশের এডিসি জনাব হারুনুর রশিদ এবং বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে আইনজীবীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়।
অনুমতি চাওয়ার জন্য পুলিশের কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেয়ার কোনো এখতিয়ার কর্তৃপক্ষের নেই। এটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অফিস। সেখানে যে কোনো নাগরিক প্রবেশের অধিকার রাখে। সেখান থেকে পুলিশের কর্মকর্তাদের গ্রেফতার অভিযান অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মানবাধিকার পরিপন্থী।
সংবিধান অনুযায়ী যে কোনো রাজনৈতিক দল শান্তপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার রাখে। জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনজীবীদেরকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়ে অনুমতি নিয়ে সমাবেশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। পুলিশ অনুমতি না দিয়ে উল্টো তাদের গ্রেফতার করে সাংবিধানিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে।
পুলিশের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, জামায়াত একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের জন্য জামায়াত অনুমতি চেয়েছিল। পুলিশ অনুমতি না দিয়ে সভা-সমাবেশ করার ও মত প্রকাশের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত আইনজীবীগণ সকলেই সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এবং তাদের অনেকেই সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক নির্বাচিত আইনজীবী প্রতিনিধি। তারা হলেন সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান, সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট জালাল উদ্দীন ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আবদুল করিম ও এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।
আমি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল আইনজীবীর মুক্তি ও ৫ জুনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অনুমতি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।