প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপন্ন মানুষ সহ সমাজের অধিকারহারা ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে সমাজের বিত্তবান, সক্ষম ও হৃদয়বান মানুষকে মুক্ত হস্তে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি Dr. Rezaul Karim
তিনি আজ লক্ষ্মীপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর শহর শাখা আয়োজিত #ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আঘাতে পিয়ারাপুর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ডেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শহর আমীর মুহাম্মদ আবুল ফারাহ্ নিশানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহর শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা শামসুল হুদা, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাকসুদুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, লাহারকান্দি ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা বেল্লাল হোসেন, পিয়ারাপুর উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি কবীর হোসেন, পৌর দক্ষিণ শিবির সভাপতি আল আমীন ও বেলাল হোসেন মোহন প্রমূখ।
ড. এম আর করিম বলেন, জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী, আদর্শিক ও সাংবিধানিক রাজনৈতিক সংগঠন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জামায়াতে ইসলামী গণমানুষের মুক্তি, সমাজ উন্নয়ন ও আর্তমানবতার কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে ও দুর্যোগকালীন মহুর্তে জামায়াত জনগণের পাশে থেকে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করেছে। সে ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ঘূর্ণিঝড় ’মোখা’ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সাধ্যমত চেষ্টা করছি। এতে কেউ সামান্যতম উপকৃত হলে আমাদের শ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করবো। মূলত, জামায়াতে ইসলামী কুরআনের সুন্নাহের আদর্শের ভিত্তিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আর দেশে কুরআনের রাজ কায়েম হলে রাষ্ট্রই নাগরিকের সকল অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। তিনি সেই স্বপ্নের ও শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্যই দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। তারা ভোট ডাকাতির জন্য শুধু দেশীয়ভাবে নয় বরং আন্তর্জাতিকভাবেও ধিকৃত হয়েছে। সরকারের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সার কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু বাংলাদেশের জন্য স্বতন্ত্র ভিসানীতি প্রণয়ন করায় দেশ ও জাতি হিসাবে আমাদের মর্যাদাহানী ঘটেছে। তারা আগামী দিনে আবারো তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্বপ্নবিলাস কখনোই সফল হবে না। তিনি সময় থাকবে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।